সোণার বালা।
মেয়েটি বড় সুন্দরী। ছোট খাট বেঁটে গড়ন, মাথায় একরাশি কালো কালো কোঁকড়া চুল, চাঁপার কলির মত বর্ণ, তাই মায়ে আদর করিয়া নাম রাখিয়াছিল নিরুপমা। নিরূপমার বয়স যখন আট বৎসর, তখন হইতে তাহার মা মেয়ের বিবাহের জন্য বড়ই ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। হিন্দুর ঘরের, ব্রাহ্মণের ঘরের বিশেষত: গৃহস্থের ঘরের মেয়ে বেশীদিন আইবুড়া রাখা উচিত নয়, এই ভাবিয়া নিরুপমার মা তাঁহার স্বামীকে বড়ই ব্যস্ত করিয়া তুলিতেন। নিরুপমার পিতা এক একদিন রাগ করিয়া বলিতেন “হ্যাঁগা, তোমার হয়েছে কি? তুমি দেখ্ছি মেয়েটাকে বাড়ীথেকে বিদার কর্তে পারলেই বাঁচ।” নিরুর মাতা অপ্রস্তুত হইয়া বলিতেন “আমি কি তাই বলছি? তবে হিন্দুর ঘরের মেয়ে বিশেষতঃ আমাদের গরীবের ঘরের, আর কতদিন আইবুড়ো রাখবো। তার উপর তোমার যে গতর, এখন থেকে খুঁজতে আরম্ভ করলে তবে যদি কালে বিয়ে হয়। নিরু আমার শ্বশুরঘরে গেলে আমার দিন কি ভাবে কাটবে তা ভগবানই জানেন।” ফলে কোন কাজই হইত না, নিরুর পিতা কন্যার বিবাহ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকিতেন। নিরু বাপমার একমাত্র সন্তান, আঁধারঘরের মাণিক, পিতৃগৃহ আলো করিয়াই রছিল। নিরুর মাতা সাধুসন্ন্যাসী দেখিলেই মেয়ের হাত