বশীকরণ।
শতাংশের এক অংশও পূরণ হইল না। এম্-এ পরীক্ষা দিয়া পুলিন যখন দেশে ফিরিল তখন সভার সভ্য সংখ্যা মাত্র পাঁচজন।
পুত্রের মন ভারি দেখিয়া পুলিনের মাতা যখন স্বামীর নিকটে পুলিনের বিবাহের কথা উত্থাপন করিলেন, তখন পুলিনের পিতা শিহরিয়া উঠিলেন। তিনি বলিলেন “সর্ব্বনাশ, তুমি ছেলেটিকে ঘরে রাখিতে দিবেনা দেখিতেছি। তোমার পুত্র যে জগৎ উদ্ধার করিবার জন্য চিরকুমার সভা স্থাপন করিয়াছে। সেকি কখনও বিবাহ করিতে পারে?” পুলিনের যশঃ কলিকাতা ছাড়াইয়া সুদূর পল্লীগ্রামেও ব্যাপ্ত হইয়াছিল। তাহার মাতা কিন্তু তাহা বুঝিলেন না, তিনি সহজে ছাড়িবার পাত্রী নহেন। অবশেষে বিরক্ত হইয়া পুলিনের পিতা বলিলেন “তুমি যদি ছেলের মত করাইতে পার তাহা হইলে তাহার বিবাহ দিতে আমার বিন্দু মাত্রও আপত্তি নাই।” বিজয়োল্লাসে মাতা যখন পুত্রের নিকট বিবাহের প্রস্তাব করিলেন, তখন পুলিন অন্নহীনতা, শিশুমড়ক এবং আরও কত, কি দুর্ব্বোধ্য কথা বলিয়া তাঁহাকে নির্ব্বাক করিয়া দিল, তিনি পলাইতে পথ পাইলেন না।
মায়ের মন কিন্তু বুঝেন, পুত্র যখন চিরকুমার সভার ভবিষ্যৎ চিন্তায় আকুল, মাতা তখন গোপনে গোপনে সুন্দরীকন্যার অনুসন্ধানে ব্যস্ত। আইন পড়িতে কলিকাতায় আসিয়া পুলিন একটী ঘোর দুঃসংবাদ শুনিয়া বসিয়া পড়িল। বিবাহিতের দল তাঁহাকে বেষ্টন করিয়া শুনাইল যে প্রবোধ বিবাহ করিয়াছে। সুমেরু পর্ব্বত যদি মক্ষিকায় নাড়িত, শিলা যদি জলে ভাসিয়া যাইত, বানরে যদি সঙ্গীত গাহিত, তাহা হইলেও পুলিন বোধ হয় এতদূর আশ্চর্যাম্বিত হইতনা। যে প্রবোধ তাহার দক্ষিণ