গুচ্ছ।
সে বলিল “ঘোষাল মশায়ের মত তুমিও কি একটি সঙ্ নাকি? তিনিত শ্বাশুড়ী আসছে বলে এখন থেকেই জড় সড় হচ্ছেন।”
পুলিন। আপনার ভগিনীও ত আসছেন?
শোভা। এলেই বা, সেত আর তোমার ঘাড়ে পড়বে না, আমার বোন অত লাজুক নয়।
পুলিন। কেন?
শোভা। অতশত আমি জানিন ভাই। তবে মোট কথা তোমার এখান থেকে যাওয়া টাওয়া হচ্ছেনা।
ইহার আর জবাব নাই বুঝিয়া পুলিন মাথাটি নীচু করিয়া কলেজে চলিয়া গেল। দুই তিন দিন পরে বিভা ও বিভার মাতা আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পুলিন বিবাহের পরে আর শ্বশুরবাড়ী যায় নাই, সুতরাং পত্নী বা শ্বশ্রূকে চিনিতে পারিল না। বিভার মাতা আসিয়া রান্না ঘরে আশ্রয় লইলেন। অন্য ঘরগুলিতে মাদুরের ম্যাটিং কার্পেট-মোড়া বলিয়া অপবিত্র জ্ঞানে তিনি সে দিক্ মাড়াইতেন না। তাঁহারা আসিবার পরে পুলিন দূর হইতে তাঁহাকে একবার প্রণাম করিয়া আসিয়াছিল, তাহার পর আর শ্বশ্রূর সাক্ষাৎ পায় নাই। শোভা বিভার নাম বদলাইয়া দিয়াছিল, অথচ মিল্ থাকিবে বলিয়া তাহাকে প্রভা বলিয়া ডাকিত। শোভার তাড়নায় বিভা পুলিনের সম্মুখে বাহির হইত, কিন্তু সে কোন মতেই ঘোমটা ছাড়িল না। বিভা আসিবার পরে পুলিন দেখিত যে তাহার ঘরটি সদা সর্ব্বদা পরিষ্কার থাকে, উচ্ছৃঙ্খল ভাবে ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত পুস্তকের রাশি কে যেন আসিয়া সাজাইয়া দিয়া যায়, তাহার বস্ত্রগুলি মলিন হইলে বদলাইয়া দেয়, কামিজে বা কোর্টে বোতামের