পাতা:গুচ্ছ - কাঞ্চনমালা বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গুচ্ছ।

আকাঙ্ক্ষা আসিয়া মানব হৃদয়কে মাতাইয়া তুলে, তাহারই নাম প্রেম। সর্ব্বস্বের সহিত সর্ব্বস্ব বিনিময় না হইলে যে প্রেম অঙ্কুরিত হয় না তাহা সে জানিত না। সে তখনও ভাবিত যে সে আদর্শরূপে জগতের সম্মুখে রহিয়াছে।

 এইভাবে দিন কাটিয়া যাইতে দেখিয়া বিভার মাতা শোভাকে বলিলেন “মা কি করে কি হবে? এত দিন বাড়ী ঘর ছেড়ে এসেছি আর কতদিন বিদেশে থাকব? জামায়ের ত মনের ভাব কিছু বুঝিতে পারা গেল না।” শোভা বলিল “ভয় কি খুড়িমা, আমার অসুধ বেশ ধরেছে,আপনি বিভাকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন না।” বিভা সেখানে বসিয়াছিল, সে ঘোমটা টানিয়া পলাইয়া গেল। তখন বিভার মাতা কহিলেন “দেখ বাছা, আমরা সেকেলে মানুষ, অসুধ বিসুধে বিশ্বাস করি। তুই যখন চিঠি লিখলি যে মাছ জালে পড়েছে, আপনা হতে এসে ধরা দিয়েছে,তখন আমি ভব-ঠাকুর-ঝির কাছে থেকে একটা জড়ি আর একটা ধারণ করিবার অসুধ সঙ্গে নিয়ে এসে ছিলুম। সেই দুটো একবার দিলে হয় না?

 শোভা। সর্ব্বনাশ, খুড়িমা, ও কথা মুখেও এনো না। তোমার কি মনে নেই, মুখুয্যের জামাই ভয়ানক বখাটে ছিল, মুখুয্যে গিন্নি ভব পিসির অসুধ খাইয়ে জামাইবশ করতে গিয়ে জন্মের মত পাগল করে দিয়েছেন। আমি পুলিনকে জড়ি-টড়ি খাওয়াতে পারবনা।

 বিভা-মা। তবে কি হবে মা? মাদুলীটা ধারণ করাতে পারলে ভাল হত।

 শোভা। তোমার জামাইকে একবার জিজ্ঞাসা করি।

১৬৬