পাতা:গুচ্ছ - কাঞ্চনমালা বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রতীক্ষায়।

 তখন ভয়ানক শীত। শীতকালে অত্যন্ত বৃষ্টি হইয়া শীতের মাত্রা চড়াইয়া দিয়াছে। এক্কাযোগে হামিরপুর হইতে নসিরাবাদ যাইতেছিলাম। পঞ্চাশ বৎসর পূর্ব্বের কথা। অনেক দিন পরে আবার এইদেশে আসিয়াছি এবং নাতিনীর নির্ব্বন্ধাতিশয় এড়াইতে না পারিয়া যৌবনের কাহিনী লিপিবদ্ধ করিতে বসিয়াছি।

 রসুলপুরের চটী তখন একটা বড় বাজার ছিল। কানপুর, হামিরপুর, ললিতপুর প্রভৃতি জেলার অনেকগুলি পথ রমুলপুর গ্রামের প্রান্তে আসিয়া মিলিত হইয়াছিল। এখন রসুলপুর গণ্ডগ্রাম, কারণ রেলপথ সেখান হইতে দশ ক্রোশ দূর দিয়া চলিয়া-গিয়াছে।

 রসুলপুরে দুইদিন বিশ্রাম করিয়া তৃতীয় দিনে যাত্রা করিতে প্রস্তুত হইলাম। দোকানদার অনেক নিষেধ করিল, আকাশের দুই এক স্থানে মেঘ দেখাইয়া বলিল যে, আজ পথ চলিতে আরম্ভ করিলে বিশেষ কষ্ট পাইবার সম্ভাবনা। তাহার অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া যাত্রা করাই স্থির করিলাম। পথে দুই চারিদিন বিলম্ব হইয়া গিয়াছে, নসিরাবাদে শীঘ্র পৌঁছিতে না পারিলে বিলক্ষণ ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা। কয়েকদিন হইতে বৃষ্টি আরম্ভ হইয়াছে, পথ ঘাট সমস্ত জলে ডুবিয়া গিয়াছে, রাস্তায়

২৩