অভাগিনী।
মাঘের শেষে প্রভাতের ঘন কুয়াসায় কাহার একটি ছোট মেয়ে আমার বাগানে গাঁদাফুল তুলিতে আসিয়াছিল। সেদিন আফিমের মাত্রাট একটু বেশী হইয়া যাওয়ায় রাত্রিতে মোটেই ব্যু হয় নাই, তাই হঁকাটা হাতে করিয়া টুলখানা লইয়া বারানায় বসিয়া ছিলাম। আমার বোধ হয় একটু তন্দ্রা আসিাছিল, কারণ তাহা না হইলে আমি সাজি হাতে ছোট মেয়েটকে দেখিয়া হরের মা গোয়ালিনীকে মনে করিব কেন, আর ফুল কুড়াইতে দেখিয়া সে আমার বুধি গরুর গোবর চুরী করিতেছে তাহাই বা ভাবিব কেন? বস্তুতঃ আমার টুলের উপর বসিয়া একটু তন্দ্রা আসিয়াছিল, হঠাৎ কলিকাটি না পড়িয়া গেলে মেয়েটীকে দেখিতে পাইতাম না। হরের মা নিত্য আমার বাড়ী হইতে গোবর চুরী করিয়া লইয়া যায়, আমি তাহাকে ধরিতে পারিন, তাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করিয়ছিলাম যে, আজ তাহাকে ধরিবই ধরিব। তাহাকে দেখিয়াই খালি পায়ে হুঙ্কার করিতে করিতে আমি একেবারে বেলতলায় গিয়া উপস্থিত। সে আমাকে দেখি ভয়ে জড় সড় হইয়া এক পাশে সরিয়া দাঁড়াইল। সে পলাইল না দেখিয়া আমি আশ্চর্ঘ্য হইয়া গেলাম, তখন বুঝিলাম সে হরের মা নহে,