গুচ্ছ।
“ইন্দু ও-কে?” ইন্দু হাসিয়া বলিল “তুমি চিনিতে পার নাই? এই সেই।”
“সেই কে ইন্দু?”
“চিনিতে পারিলে না?”
“ছিঃ ইন্দু, এমন কাজ করিতে নাই।”
“কেন বউ দিদি?”
“তোমার জ্ঞান হইয়াছে। তোমার কি পর-পুরুষের সহিত আলাপ করা উচিত?” “পর-পুরুষ? একি তবে সে নহে?”
ইন্দু এই বলিয়া কাঁপিতে কাঁপিতে বসিয়া পড়িল। গায়ক তখনও গাহিতেছিল—
“তবু ফেলোনা দূরে, দিবস শেষে,
ডেকে নিও চরণে;
তুমি ছাড়া আর কে আছে আমার
মৃত্যু-আঁধার ভব।”
ইন্দুর সর্ব্বাঙ্গ ঘর্ম্মাপ্লুত হইয়া উঠিল, ধীরে ধীরে শয়ন করিল। তাহার পর একটু শাস্ত হইয়া সে বলিল “বউদিদি, একি তবে সে নয়? তুমি ভুল করিয়াছ! এই সেই। আমি দশ বৎসর ধরিয়া তাঁহাকে দেখিয়া আসিতেছি। আমি কখনই ভুল করি নাই।” ইন্দু ক্রমশ: চারিদিক আঁধার দেখিতেছিল, অন্ধকার ভেদ করিয়া কাহার উজ্জ্বল মূর্ত্তি তাহার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল। এই সেই! সেত ভুল করে নাই। এই তাহার শ্যামসুন্দর। এই নীরদ বরণ, মানসমোহন মূর্ত্তি সে কতবার দেখিয়াছে। শ্যামসুন্দর এইমাত্র ছদ্মবেশে আসিয়াছিল,