পাতা:গুঞ্জন - বিজন কুমার আচার্য্য.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচিতি ঋতায়তে!” যাকিছু তার চখে পড়ছে, প্রেমোন্মাদ কবির মুগ্ধদৃষ্টিতে সকলই সুন্দর– । “সামনে বাড়ীর আলসেতে ভিজচে বসে দু'টি কাক, করছে আদর চঞ্চু দিয়ে লাগছে মিঠে তাদের ডাক ! ! প্রেমের এই তুরীয় অবস্থায় কবির তৃতীয় নেত্র খুলে যায়, তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিকাশ ঘটে । অতি তুচ্ছতম বস্তুও তখন কবির স্বক্ষ দৃষ্টিকে এড়িয়ে যেতে পারে না। কাক ও কোকিলে অভেদ হ’য়ে যায় তার কাছে । কলঙ্কের কালিকে মনে হয় প্রিয়ার চখের কালে কাজল ! এমনি ক’রে দিনের পর দিন রাতের পর রাত, কত অণগত ও অনাগত ভবিষ্যতের স্বপ্ন, কত অতীত ও বর্তমানের ঘটনা কবিকে মান অভিমানের মানস রতিরঞ্জিত বিরহ-মিলনের মধ্যে ক্রমাগত আকর্ষণ ও বিকর্ষণ করেছে। এই সজঘর্ষ জীবনে যতই উগ্র হয়ে উঠেছে কবির কল্পনা পেয়েছে ততই ভাবলোকে উদ্দম গতি, কিন্তু, কোথাও তার মানসিক ভারসামের কেন্দ্রচূতি ঘটেনি, এটা কবির সংযমেরই নিদর্শন । মধুকরী বৃত্তি তার প্রেমের ব্রত নয়, তিনি পত্নীগতপ্রাণ একনিষ্ঠ প্রেমিক । তাই, কবি তার প্রিয়ার কাছে কবুল করেছেন— “সত্যি বটে তোমার ছবি ফিরে ফিরেই আঁকি ! কিন্তু, কেন আঁকেন ? ফিরে ফিরে একই ছবি তার কল্পনায় ভাসে কেন ? “আমার ভাঙা ঘরের কোণে রূপটি তোমার স্বপন বোনে” ”—নুতন করে পেতে তোমায় নিতুই জাগে সাধ ।”