পাতা:গুঞ্জন - বিজন কুমার আচার্য্য.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচিত্তি গুঞ্জন’ কাব্যের আদ্যোপান্ত তাই কেবলমাত্র নবোঢ়ার প্রেমের চটুল গজল গীতিই নয়, সকল বয়সের সকল অবস্থর বাস্তব জীবনের ছবি এতে আছে । অাছে দৈনন্দিন সংসার-যাত্রার চিত্র, অতি সাধারণ গৃহকোণের পটভূমিকায় । মেসের ছেলের মুগ্ধ চোখে পাশের গৃহস্থবাড়ীর ফ্রকপরা মেয়েটি কেমন করে বালিকা থেকে কিশোরী হয়ে উঠলো, কবে তার রঙীন ডুরে শাড়ীর অঞ্চল আড়ালে নব যৌবনের চিত্তাকর্ষক আবির্ভাব ঘটলো, একদা যে ছিল তম্বী তরুণী প্রিয়! সে কবে তা বার তার রংকর বাহারী শাড়ী ছেড়ে লাল পেড়ে গরদের বসনে গৃহিণীর স্থূলতনু ঢেকে পূজার পুষ্প-অৰ্ঘ নিয়ে গৃহদেবতার মন্দিরে প্রবেশ করলেন, কবিপ্রিয়ার নব নব রূপের সে ক্রমবিবর্তন কবির দৃষ্টিকে বার বার মুগ্ধ করেছে । সর্ব রূপেই পরাণ-প্রিয়া তার কাছে হয়ে উঠেছেন मभूत्र ७ मग्नश् िन ! গুঞ্জনের কবি সহজিয়ার সাধক, পরকীয়ার প্রেমিক নন । যে মেয়েটিকে জীবন-প্রভাতে একদ। তিনি অপরিণত মন নিয়ে ভালবেসেছিলেন, *াকেই উত্তর জীবনে পত্নীরূপে পেয়ে তার জীবন ও যৌবন সার্থক মনে হয়েছে । কবির সে মানসী আজ শুধু কবির পত্নী নন, র্তার প্রেমিক, তার সখী-সচিব-মিত্র-সহধর্মিণী-প্ৰণয়িনী সকলই তিনি । কবির এই সুগভীর পত্নীপ্রেমই গুঞ্জনের সকল গুঞ্জরণকে এমন একটি সহজ স্বাভাবিক প্রীতির রসে অভিসিঞ্চিত কবে তুলেছে যে নিজ নিজ বিবাহিতা স্ত্রীকে র্যার যথার্থই ভালবাসতে পেরেছেন তাদের কাছে আমার বিশ্বাস — গুঞ্জন হয়ে উঠবে গীতাঞ্জলি'র মতই সমাদৃত । কারণ, প্রিয়াকে তারা এর মধ্যে আবার নুতন করে পাবেন -প্রোসীর বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক রূপে –যে রূপ একদিন দিবসে নিশীপে তাদের ও চখে ভাল লেগেছিল । দোষ-ত্রুটি এ গ্রন্থে যা আছে ভূমিকায় তার উল্লেখ নিম্প্রয়োজন, কারণ, ভূমিকা সমালোচনা নয়, প্রশংসাপত্ৰও নয়, কবি ও তার ক্লাব্যের সাত