ইহারা যেরূপ ভাবে আমাকে যাইতে বলিল, আমি সেইরূপ ভাবেই উহাদিগের সঙ্গে সঙ্গে গমন করিতে লাগিলাম। আমি জানি না যে কোথায় যাইতেছি ও কেনই বা যাইতেছি। উহারা আমাকে বলিল না যে আমাকে কোথায় লইয়া যাইতেছে ও কেনই বা লইয়া যাইতেছে; তথাপি কিন্তু আমি তাহাদিগের ইচ্ছানুবর্ত্তী হইয়া তাহাদিগের সমভিব্যাহারে গমন করিতে লাগিলাম। যে পাড়ার ভিতর আমার বাসস্থান, ক্রমে সেই পাড়া অতিক্রম করিয়া আমি তাহাদিগের সহিত চলিতে লাগিলাম। গভীর রজনীর আবরণে পাড়ার কেহই আমাদিগকে দেখিতে পাইল না—বা কেহই জানিতে পারিল না যে আমরা কোথায় যাইতেছি। ক্রমে আমরা সকলেই সদর রাস্তায় আসিয়া উপনীত হইলাম, দেখিলাম সেই স্থানে এক খানি গাড়ী দাঁড়াইয়া আছে। —গাড়ীর উপরে এক জন কোচওয়ান ভিন্ন আর কেহই নাই, ভিতরেও কেহ ছিল না। গাড়ীর নিকট আগমন করিয়া ঐ তিন ব্যক্তি আমার ঘর হইতে অপহৃত দ্রব্যাদির সহিত সেই গাড়ীর ভিতর আরোহণ করিল। আমাকেও সেই সঙ্গে উঠাইয়া লইল। আমরা গাড়ীতে উপবিষ্ট হইবার পর, ঐ গাড়ীর উভয় পার্শ্বের দরওয়াজা উহারা বন্ধ করিয়া দিল ও গাড়ী চলিতে আরম্ভ করিল। অনেকক্ষণ চলিবার পর ঐ গাড়ী এক স্থানে আসিয়া দণ্ডায়মান হইল। সেই স্থানে ঐ গাড়ীর দরওয়াজা খুলিলে দেখিতে পাইলাম একটী দ্বিতল বাড়ীর সম্মুখে ঐ গাড়ী আসিয়া দাঁড়াইয়াছে। ঐ স্থানে আরোহিগণ গাড়ী হইতে অবতরণ করিল ও আমাকেও গাড়ী হইতে নাবাইয়া লইয়া সেই বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিল। আমরা বাড়ীর ভিতর প্রবিষ্ট হইবা মাত্র ঐ বাড়ীর সদর দরওয়াজা এক ব্যক্তি ভিতর হইতে বন্ধ
পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।