অন্তেষ্ঠী ক্রিয়া সমাপন হইয়া গিয়াছে বলিয়াই বোধ হয় উহাকে আর দেখিতে পাইলাম না।
যে দিবস প্রত্যুষে ঐ মৃত দেহ ঐ বাড়ীর ভিতর দেখিতে পাইলাম না সেই রাত্রিতে দস্যুগণের মধ্যে আপসে যে সকল কথা হইতেছিল তাহা শুনিয়া আমার তন্দ্রা ভঙ্গ হইল। কিন্তু আমি আমার বিছানা হইতে গাত্রোত্থান না করিয়া উহাদিগের কথা গুলি বিশেষরূপ লক্ষ্য করিয়া শুনিতে লাগিলাম। যাহা শুনিলাম তাহাতে আমার অন্তরাত্মা শুকাইয়া গেল। এই ভয়ানক বিপদে পড়িয়া, কয়েদীর ন্যায় এই স্থানে বন্দী হইয়া, আমার চির দিবসের উপার্জ্জিত সমস্ত অর্থ হইতে বঞ্চিত হইয়া আমি যেরূপ ভীত হইয়া পড়িয়াছিলাম দস্যুগণের কথা শুনিয়া আমার সেই ভীতি আরও শতগুণে বর্দ্ধিত হইল। মনে হইল উহারা আমার আরও যেরূপ ভয়ানক সর্ব্বনাশ সাধনের চেষ্টা করিতেছে তাহা অপেক্ষা আর কোনরূপ সর্ব্বনাশই সাধিত হইতে পারে না, কিন্তু উহারা কি স্বার্থের উপর নির্ভর করিয়া এই ভয়ানক কার্য্য সাধন করিয়া আসিয়াছে তাহারও কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। উহারা আপসে যে সকল কথাবার্ত্তা কহিতেছিল তাহার সারংশে আমি আপনাদিগের নিকট বলিতেছি, আপনার বিবেচনা করিয়া দেখুন উহাদিগের এরূপ কার্য্যের উদ্দেশ্য কি।
আমার তন্ত্রাভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে শুনিলাম, একজন দস্যু অপর আর এক জনকে কহিতেছে “অনন্যোপায় হইয়া ঐ মৃত দেহ, আমি এই বাড়ীতে রাখিয়া দিয়াছিলাম, কারণ কবরস্থানে যখন গোল উঠিল, আমাদিগের মনোবাঞ্ছা যখন সেই স্থানে পূর্ণ করিতে পারিলাম না অথবা বুঝিতে পারিলাম যে মৃতদেহের সহিত সেই