পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

যখন আমরা নিতান্ত পিড়াপিড়ি করিতে লাগিলাম তখন সে মুক্তকণ্ঠে কহিল সে কোন কথার উত্তর প্রদান করিবে না, তাহাকে মারিয়া ফেলিলে বা তাহাকে টুকরা টুকরা করিয়া কাটিয়া ফেলিলৈও সকলে দেখিবে যে তাহার একই কথা, সে কিছুতেই কোন কথার উত্তর প্রদান করিবে না। যাহা হউক মস‍্লিম‍্কে সেই স্থান হইতে কলিকাতায় আনিলাম।

 অপরাপর যে সকল কর্ম্মচারী এই মকর্দ্দমার অনুসন্ধানে নিযুক্ত ছিলেন তাহারাও মস‍্লিম‍্কে লইয়া নানারূপ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কেহ বা তাহাকে নানারূপ ভয় প্রদর্শন করিতে লাগিলেন, কেহ বা তাহাকে মিষ্ট কথায় ভূলইয়া তাহার অন্তরের কথা বাহির করিয়া লইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন কিন্তু কেহই কোনরূপে কৃতকার্য্য হইতে পারিলেন না। মস‍্লিমে‍র অনুচরগণ যখন প্রথম ধৃত হয় সেই সময় আমরা তাহাদিগের দেশ প্রভৃতির বিষয়, জিজ্ঞাসা করিয়া ছিলাম, ও তাহার উত্তরে তাহার যাহা বলিয়াছিল তাহা লিখিয়াও লইয়াছিলাম, সেই সকল স্থানে লোক পাঠাইয়া অনুসন্ধান করা হইল, কিন্তু সেই নামের কোন ব্যক্তি বা সেরূপ কোন স্থান পাওয়া গেল না।

 মস‍্লিমের ঘরে যে সকল অলঙ্কার পাওয়া গিয়াছিল কেবল ঐ সকল অলঙ্কার লইয়াই উহার উপর দুইটী মকর্দ্দমা পুনরায় রুজু হইল। একটী তারামণীর গৃহে সিঁদ দিয়া তাহার যথা সর্ব্বস্ব অপহরণ করায়, অপরটী বেলা নাম্নী স্ত্রীলোকের অঙ্গে যে সকল অলঙ্কার ছিল, ও যে সকল অলঙ্কারের সহিত তাহাকে পাওয়া যাইতেছে না, সেই সকল অলঙ্কার অপহরণ করায়।

 বেলা যে হত হইয়াছে তাহার মৃতদেহ তারামণীর লোহার