পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা জীবজন্তু আছে—আমার এই তীরের সামনে কেউ অগ্রসর হতে পারবে না । তুমি নিশ্চিন্তে বলো—তারপর কি হ’লে ? আমি শুনতে চাই । ভয় পেয়ো না ভাই । বল, তারপর ? চন্দর—( কম্পিত স্বরে ) তারপর ? ঈষীক অস্ত্র । তিনি সেই ঈর্ষাকাস্ত্র-কৌশলে গুলিকা আর আংটি কূপ হতে তুললেন, রাজপুত্রেরা তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেল । তিনি বললেন, আশ্চৰ্য্য হয়ে না পুত্ৰগণ ! তোমাদের উচ্চাশা, অধ্যবসায় আর মনোযোগ থাকলে তোমরাও অস্ত্র শিক্ষার এমন সকল কৌশল শিক্ষা করতে পারবে । হরি—তার পর ? শুনেছ, দেখনি, যা বললে ? চন্দর—ন । তার পরের দিন তাকে কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রশিক্ষার গুরুর পদে বরণ করা হ’লো,—শুনেছি। একলব্য—শুনলে, খুব অস্ত্রশিক্ষা-বিশারদ ছিলেন তিনি ? চন্দর—শুনেছি কোন ক্ষত্রিয় ও নাকি অস্ত্র-শিক্ষায় তার মত দক্ষ ছিলেন না । তিনি গুরুর পদে অভিষিক্ত হয়েই নাকি প্রতিজ্ঞা করেছেন—কুরু-পাণ্ডব সকল রাজপুত্রদের তিনি যথার্থ ক্ষত্রিয় ক’বে তুলবেন। এখন তিনি হস্তিনাপুরেই আছেন। আর কি তারপর আছে ? আমি যেতে পারি কি ? একলব্য—যাও ভাই । ( তাদের সভয়ে প্রস্থান ) ক্ষত্ৰিয়ই মানুষ ! তারাই মানুষ হবে । আমি প্রতিজ্ঞ করলুম—আমিও ক্ষত্রিয় হবো । দেখি নিষাদপুত্র, তোমার রক্তের শক্তি কত । ` සං