পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা বিমুখ করা। উনি আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা করছেন—একবার আমার অধ্যবসায় পরীক্ষা করবেন । ভীম—আচ্ছা বিপদে ফেললে ত’.যাও ! স্পৰ্দ্ধা ত’ কম নয় ! এখন ও দাড়িয়ে আছ এখানে ? একলব্য—যাচ্ছি । কিন্তু যাবার আগে একটা স্পৰ্দ্ধ ক’বে য{ই গুরুদেব ! নিষাদের ঘরে আমার জন্ম ব’লে আপনার হয়ত আমাকে কিছু শিক্ষা না-দেবার থাকতে পারে ; কিন্তু শেষ কথা ব’লে যাই, আপনাকেই গুরুর পদে বরণ ক’রে নিজ অধ্যবসায়—নিজ সত্যনিষ্ঠার বলে আমি আশা রাখি, ক্ষত্রিয়েরও বড় হবো একদিন । অৰ্জ্জুন—ক্ষান্ত হও নিষাদপুত্ৰ ! একলব্য—-তখন আপনার যে-কোন অভিলাষ পূরণ করবার জন্যে আপনাকে না-দেবার আমার কিছুই থাকবে না; যিনি আজ জন্ম-অপরাধে আমায় ত্যাগ করলেন—আজ শপথ করছি, তারই মঙ্গলের জন্য আমি অনায়াসে আমার প্রাণ পৰ্য্যন্ত দেব ; সেদিন শিষ্য ব’লে গ্রহণ করতে আপনার ঐ অনুদার-বক্ষ প্রস্তুত রাখতে হবে । যাই । ( আবার ফিরিয়া আসিয়া ) যাবার সময় বলি— গুরুদেব । আজ আমি ক্ষত্রিয় নয়, নিষাদও নয়—আমি মানুষ । আর সেই হবে আমার সত্য পরিচয় গুরুদেব সেদিনের । ( প্ৰণাম ) [ একলব্যের বেগে প্রস্থান । সকলে বিস্ময়ে চাহিয়া রহিল ] உகக-க