পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা আমার প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়েছে। এই গ্রহণ করুন গুরুদক্ষিণা— গুরুদেব ! ( অসি দিয়া নিজের দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কাটিয়া দিল । সকলে অস্ফুট স্বরে চীৎকার করিয়া মুখ ফিরাইল ) । দেখুন গুরুদেব ! ক্ষত্রিয় শোণিত আর ব্যাধের শোণিতে পার্থক্য কোথায় ? [ বসন্তের বেগে প্রবেশ ] এই দিকে—এই দিকে । বসন্ত—বন্ধু ! বন্ধু ! একি ! কে করেছে তোমার এ দশা ? বল শীঘ্ৰ ক’রে—এখনও জীবিত আমি । একলব্য—আমি নিজে করেছি । গুরুপদে দিয়েছি আমার সকল সাধন । বসন্ত—রক্ত কেন ! ক্ষত্রিয় অন্যায় কৌশলে নিয়েছে ? একলব্য—গুরুদেব ভেবেছিলেন যে ক্ষত্রিয়ের শোণিতে আর নিষাদের শোণিতে পার্থক্য আছে —আমি আমার আঙ্গুল কেটে দেখিয়ে দিয়েছি—পার্থক্য নেই। সব শোণিতই এক । এই দেখুন গুরুদেব বর্ণ এক, শব্দ এক, তেজ এক—এক সব । বসন্তের প্রতি ] চল ফিরে যাই। চল ফিরে যাই ।— গুরুদেব !—আমার শ্রেষ্ঠ গুরুদক্ষিণ রইল আপনার চরণতলে । চেয়ে দেখুন, গুরুদেব, চেয়ে দেখ ক্ষত্রিয়, আজ দেখ বিশ্বের মানব, ঐ রক্তধারা যেন বলছে—যুগে যুগে সাক্ষ্য দিবে বলবেও —আমি ব্রাহ্মণ নয়, ক্ষত্রিয় নয়, নিষাদ নয়, আমি আজ মানুষ-মানুষ। রক্তে ভেদ নেই। [ বেগে প্রস্থান 8 (?