পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণ। [ হরির প্রবেশ ] হরি—আর পারি না ! এখানে বোঝাটা রেখে খানিকক্ষণ একটু বিশ্রাম করি । ( কাঠের বোঝ। রাখিয়া ) আর-সব ছেলেরা কেমন খেলিয়ে বেড়ায়, কেমন অস্ত্র শিক্ষা করে, কেমন বেদ পাঠ করে, আর—আমরা ? কেবল বোঝা বইতেই আমাদের জন্ম । কে, আমাদের চন্দর যাচ্ছে না !—তাই ত’ । ও চন্দর ! ও চনদর ! এ ধারে—এ ধারে— [ চন্দরের প্রবেশ ] চন্দর–যেন ডাকাত পড়েছে। অত হাকাহাকি করিস কেন ? যাচ্ছিলুম একটা শুভ কাজে, অমনি পেছু ডাকা হ’লো ! হরি-—আমি ত’ অত-শত জানি না—তাই ডেকেছি। কাঠের বোঝা আর বইতে পারছিলুম না ব’লে, এখানে এই খানিকক্ষণ বিশ্রাম করছিলুম। তোমায় দেখতে পেলুম, তাই ভাবলুম ব’সে একটু গল্প করি । তাই ডাকলুম । দাড়াও না একটু ! চন্দর—দ্যাথ হরি, তুই ত’ কিছু শিক্ষা করলি নি, কেবল কাঠ বইতেই শিখেছিস্ ! তা—তোর কাছে আর কি গল্প করবো বল । হরি—তুমি আবার কি গল্প করবে ? এই সেদিন হস্তিনপুরে ঘুরে এলে—তোমার বাবার সঙ্গে, নয় ? সে-দেশের হাতার গল্পই দু একটা বল, শুনি । চন্দর—তুই একটা হস্তিমূখ —হস্তিনাপুরে হাতী পাওয়া যায় না, মানুষ পাওয়া যায় রে গাধা ! ૭