পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ROO) গাহদাহ কঠিন পরীক্ষা করিতে প্রবত্ত হইবে, এবং তাহার ফল আর যাহাই হোক, আহাদ করিবার বস্ত হইবে না । এই মেয়েটির কিছুই না জানিয়াও তিনি জানিয়াছিলেন, সে সত্য সত্যই ভদ্রমহিলা । কোন একটা সংবিধার খাতিরে সে কিছতেই মিথ্যা। বলিতে পরিবে না ; সে যে ব্রাহ্ম-পিতার কন্যা, সে যে নিজেও ছোঁয়াছীিয় ঠাকুরদেবতা মানে না, ইহার কোনটাই গোপন করিবে না । তখন এ বাটীতে যে বিপ্লব বধিয়া যাইবে তাহা কল্পনা করিতেও হৃদিকম্প হয়। কিন্তু ইহা ত গোল তাঁহার নিজের সখ-সবিধার কথা । আরও একটা ব্যাপার ছিল, যাহাকে তিনি নিজের কাছেও সপলিট করিয়া লইতে চাহিতেন না । তাঁহার মেয়ে ছিল না, কিন্তু প্রথম সন্তান তাঁহার কন্যা হইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিল । আজ সে বাঁচিয়া থাকিলে অচলার জননী হইতে পারিত, সতরাং বয়স বা চেহারার সাদশ্যে কিছই ছিল না । কিন্তু সেই ক্ষধােটা যে তাঁহার কত বড় ছিল, তাহা সেই অচেনা মেয়েটিকে যেদিন পথে পথে কাঁদিয়া চিকিৎসকের অন্যাসন্ধান করিতে দেখিয়াছিলেন। সেইদিনই টের পাইয়াছিলেন । সেদিন মনে হইয়াছিল, সেই বহদিনের হারানো সন্তানটিকে যেন হঠাৎ খাজিয়া পাইয়াছেন ; এবং তখন হইতে সে ক্ষধােটা প্রতিদিনই বদ্ধি পাইয়াছে এবং অস্তরেও অন্যভব করিতেন সত্য, কিন্তু কি যেন একটা গভীর রহস্য এই মেয়েটিকে B DuBmBDDBD BB00BS BDDYS SDLD gDYSSiDBBBD LLDBB BDB BBBLYS তাহা আড়ালেই থাকুক, চেন্টা করিয়া তাহাকে বাহিরে টানিয়া আনিয়া আর কাজ 5 একদিন রাক্ষসী একটুমাত্র অ্যাভাস দিয়া ছিল যে, বোধ হয়। ভিতরে একটা পারিবারিক বিবাদ আছে—বোধ হয়। কলহ করিয়া সরেশবাব সত্ৰী লইয়া গহত্যাগ করিয়া আসিয়াছেন, হঠাৎ যেদিন অচলা আপনাকে ব্ৰাহ্মমহিলা বলিয়া প্রকাশ করিয়াছিল, অথচ সরেশের কন্ঠে ইতিপবে ই যজ্ঞোপবীত দেখা গিয়াছিল, সেদিন বন্ধ চমকিত হইয়াছিলেন, আঘাত পাইয়াছিলেন, কিন্তু মনে মনে এই গ্যািপ্ত রহস্যের যেন একটা হেতু খাজিয়া পাইয়াছিলেন ; সেদিন নিশ্চয়ই মনে হইয়াছিল, সৱেশ ব্লাহ্মঘরে বিবাহ করিয়াই এই বিপত্তি ঘটাইয়াছে, তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই । ক্ৰমশঃ এই বিশ বাসই তাঁহার মধ্যে বদধিমাল হইয়া গিয়াছিল । এই বন্ধলোকটি সত্যই হিন্দ ছিলেন, তাই হিন্দধমের নিম্ঠাকেই তিনি পাইয়াছিলেন, ইহার নিন্তুরতাকে পান নাই । ব্ৰাহ্মণ-সন্তান সরেশের এই দৰগতি না ঘটিলেই তিনি খশী হইতেন, কিন্তু এই যে ভালবাসার বিবাহ, এই যে আত্মীয়সািবজনের বিচ্ছেদ, এই যে লকোচুরি, ইহার সৌন্দয, ইহার মাধষ* ভিতরে ভিতরে তাঁহাকে ভারী মগধ করিত । ইহাকে না জানিয়া প্রশ্ৰয় দিতে সেন সমস্ত মন তাঁহার রসে ডুবিয়া যাইত । তাই যখনই এই দলটি বিদ্রোহী প্রণয়-অভিমান তাঁহার কাছে মাঝে মাঝে মনোমালিন্যের আকারে প্রকাশ পাইত, তখন অতিশয় ব্যথার সহিত তাঁহার এই কথাটাই মনে হইত, পরগাহের অত্যন্ত সঙ্কীণ সংকুচিত গাড়ির মধ্যে যে মিলন বেবিল ঠোকাঠুকি খাইতেছে, তাহাই হয়ত নিজের বাটীর সবাধীন ও প্রশস্ত