পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২১

“গহীদাহ RRS “করেও এ কাগজখানি তোমার হাতে দিতে আমার সাহস হয়নি, কিন্তু আজ আমার श्राद्र ना मिटव्जझे नश् । অচলা খামখানি হাতে লইয়া দ্বিধাভাবে কহিল, তার মানে ? সমরেশ একটু হাসিয়া বলিল, দনিয়ায় আমার সাহস হয় না, এমন ভয়ঙ্কর আশচষা ব্যস্ত আবার কি ছিল, এ ত তুমি ভাবচো ? ভাবতে পারো-আমিও অনেক ভেবেচি । এর মানে যদি কিছ: থাকে, একদিন তা প্রকাশ পাবেই । কিন্তু অনেক অপমান, অনেক দঃখের বোঝাই ত সংসারে তুমি আমার কাছে অৰ্থ - না বঝেই নিয়েচ-একে তেমনি নাও অচলা । অচলা শান্তকন্ঠে প্রশ্ন করিল, এর মধ্যে কি আছে ? সরেশ হাত জোড় করিয়া কহিল, এতদিন যা কিছ তোমার কাছে পেয়েছি, ডাকাতের মত জোর করেই পেয়েছি । কিন্তু আজ শািন্ধ একটি জিনিস ভিক্ষে চাইচি-ও কথা তুমি জানতে চেয়ো না । অচলা চুপ করিয়া রহিল, ইহার পরে কি বলিবে, ভাবিয়া পাইল না । বাহিরে পদার আড়াল হইতে বেহােরা ডাকিয়া কহিল, বাবাজী, এক্কাওয়ালা বলচে, আর দেরি করলে পৌছতে রাত্রি হয়ে যাবে । পথে হয়ত ঝড়বশিষ্টও হতে পারে । অচলা চকিত হইয়া কহিল, আজ আবার তুমি কোথায় যাবে ? এমন সময়ে ? সরেশ হাসিমখে সংশোধন করিয়া কহিল, অৰ্থাৎ এমন অসময়ে । যাচ্ছি। ওই মাকুলিতেই । প্লেগের ডাক্তার কিছতে পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ গ্রামগলো একেবারে শৰ্মশান হয়ে পড়েচে । এবার পাঁচ-সাত দিন থাকতে হবে।--আর কে জানে, হয়ত একেবারেই বা থেকে যেতে হবে । বলিয়া সে আবার একটু হাসিল । অচলা স্থির হইয়া তাহার মাখের পানে চাহিয়া রহিল। সে নিজেও কিছ কিছ: সংবাদ জানিত ; সাত-আট ক্লোশ দরে কতকগলা গ্রাম যে সত্যই এ বৎসরে প্লেগে শমশান হইয়া যাইতেছে, এ খবর সে শনিয়াছিল। শহর হইতে এতদরে এই ভীষণ BDuBuuB DDBDD uDB DDBDB BD DBDDBBD BBDBD DuuBSBB DDB নয়। সরেশ বহন টাকার ঔষধ-পথ্য যে গোপনে দিকে দিকে প্রেরণ করিতেছে, ইহাও সে টের পাইয়াছিল ; এবং নিজেও প্রায় ভোরে উঠিয়া কোথাও না কোথাও চলিয়া যায়। ফিরিতে কখনো সন্ধ্যা, কখনো রাত্রি হয়-পরশ ত আসিতে পারে নাই, কিন্তু সে যে বাড়ি ছাড়িয়া, তাহাকে ছাড়িয়া, একেবারে কিছদিনের মত সেই মরণের মাঝখানে গিয়া বাস করিবার সঙ্কল্প করিবে, ইহা সে কল্পনাও করে নাই । তাই কথাটা শনিয়া ক্ষণকালের জন্য সে কেবল নিঃশব্দে তাহার মাখের প্রতি চাহিয়া রহিল। এই যে মহাপাপীঠ, যে ভগবান মানে না, পাপ-পণ্য মানে না, কেবলমাত্র বন্ধ ও তাহার নিরাপরাধা সন্ত্রীর এত বড় সাধনাশ অবলীলাক্রমে সাধিয়া বসিল, কোন বাধা মানিল না-তাহার মাখের প্রতি সে যখনই চাহিয়াছে, তখনই সমস্ত মন বিতৃষ্ণায় বিষ হইয়া গিয়াছে,-কিন্তু আজ এই মহাতে তাহারই পায়ে চাহিয়া সমস্ত অন্তর তাহার বিযে