পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহীদাহ &○ তাহার মাখের ও কণ্ঠস্বরের অমাবাভাবিক গাম্ভীষ লক্ষ্য করিয়া কেদারবাব মনে মনে শঙ্কা অনভব করিলেন। কিন্তু জোর করিয়া একটু হাস্য করিয়া, আবার সেই ধয়া তুলিয়াই বলিতে লাগিলেন, যত সব ছেলেমানষের কা^ড । কিন্তু একটুখানি সামলাতে না দিলে -বাকলে না। সরেশ, ও-সব প্লেগ-ফ্লেগের জায়গায় নাম করলেইমেয়েমানষের মন কিনা । একবার শনলেই ভয়ে অজ্ঞান-বনকালে না। বাবা কোন প্রকার কৈফিয়তের প্রতি মনোযোগ দিবার মত সরেশের মনের অবস্থা নয়সে অধীর হইয়া বলিয়া উঠিল বাস্তবিক কেদারবাব, আমার অপেক্ষা করার সময় নেই । তা ত বটেই। তা ত বটেই। কে আছিস রে ওখানে । বলিয়া ডাক দিয়া কেদারবাব মহিমের প্রতি একটা বািক কটাক্ষ করিলেন । মহিম উঠিয়া দাঁড়াইয়া একটা নমস্কার করিয়া নীরবে বাহির হইয়া গেল । কেদারবাব নিজে গিয়া অচলাকে যখন ডাকিয়া আনিলেন, তখন অপরাহ-সবুষের ব্লপ্তিম-রশিম পশ্চিমের জানলা-দরজা দিয়া ঘরময় ছড়াইয়া পড়িয়া ছিল । সেই আলোকে উদ্ভাসিত এক তরণীর ঈষদ্দীঘ কৃশ দেহের পানে চাহিয়া পালকের জন্য সরেশের বিক্ষব্ধ মনের উপর একটা মোহ ও পালকের সর্পশ খেলিয়া গেল, কিন্তু স্থায়ী হইতে পারিল না। তাহার মাখের প্রতি দণ্টিপাত মাত্রেই সে ভাব তাঁহার চক্ষের নিমেষে-নিবাপিত হইল। কিন্তু তবও সে চোখ ফিরাইয়া লইতে পারিল না, নিনিমেষনেত্ৰে চাহিয়া হন্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল । অচলার মাখের উপর আকাশের আলো পড়ে নাই বটে, কিন্তু সমখের দেয়াল হইতে প্রতিফলিত আরম্ভ আভায় সমস্ত মখখানা সরেশের চোখে কঠিন ব্রোঞ্জের তৈরী মতি’র মত বোধ হইল । সে সপমের্ট দেখিতে পাইল কি যেন একটা নিবিড় বিতৃষ্ণায় এই নারীর সমস্ত মাধয, সমস্ত কোমলতা নিঃশেষে শষিয়া ফেলিয়া মাখের প্রত্যেক রেখাটিকে পর্যন্ত অবিচলিত দঢ়তায় একেবারে ধাতুর মত শক্ত করিয়া ফেলিয়াছে। সহসা কেদারবাবার প্রবল নিশবাসের চোটে সরেশের চমক ভাঙ্গিতেই সোজা হইয়া বসিল । কেদারবাব আর একবার তাঁহার পরাতন মন্তব্য প্রকাশ করিয়া কহিলেন, যত সব পাগলামি কান্ড-কাকে যে কি বলি, আমি ভেবে পাইনে সমরেশ অচলাকে উদ্দেশ করিয়া নিরতিশয় গম্ভীরকণ্ঠে প্রশ্ন করিল, আপনি যা বলে গেলেন, তাই ঠিক ? अ5ना दाए नाट्रिक्षा कश्व्नि, श् । এর আর কোন পরিবতন সম্ভব নয় ? অচলা মাথা নাড়িয়া বলিল, না । রক্তের উচ্ছৰাস এক ঝলক আগমনের মত সমরেশের চোখ-মাখ প্ৰদীপ্ত করিয়া দিল ; কিন্তু সে কন্ঠস্বর সংযত করিয়াই কহিল, আমার প্রাণীটার পর্যন্ত যখন কোন দাম নেই, তখনি আমি জানতুম। তাহার বকের ভিতরটা তখন পড়িয়া যাইতেছিল। একটুখানি স্থির থাকিয়া বলিল, আচ্ছা জিজ্ঞাসা করি, আমিই কি