পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহীদাহ VS অধমের বাড়িতেই একবার পায়ের ধলো দিতে হবে-নইলে বিশ বাস হবে না যে, আমি ক্ষমা পেয়েছি । বলান এ ভিক্ষে দেবেন ? বলিয়া সে অকস্মাৎ নীচু হইয়া কেদারবাবর পায়ের ধলো লইতে গেল । কেদারবাব শশব্যাহন্ত হইয়া বোধ করি বা তাহাকে জোর করিয়াই নিরস্ত করতে গিয়াছিলেন-অকস্মাৎ তাহার অসফট কাতরোক্তিতে লাফাইয়া উঠিলেন । পিঠের খানিকটা দগধ হওয়ায় ব্যান্ডেজ করা ছিল, একটা শাল গায়ে দিয়া এতক্ষণ সরেশ ইহা গোপন করিয়া রাখিয়াছিল । না জানিয়া টানাটানি করিতে গিয়া, তিনি ব্যান্ডেজটাই সরাইয়া ফেলিয়াছিলেন। এখন অনাবত ক্ষতের পানে চাহিয়া বদ্ধ সািভয়ে চীৎকার করিয়া উঠিলেন । তড়িৎপ্ৰপলেটর মত উঠিয়া আসিয়া অচলা ব্যান্ডেজ ধরিয়া ফেলিয়া বলিল, ভয় কি, আমি ঠিক করে বেধে দিচ্চি। বলিয়া তাহাকে ও-ধারের সোফার উপর বসাইয়া দিয়া সযত্নে ব্যান্ডেজটা যথাস্থানে বধিয়া দিতে প্রবত্ত হইল । কেদারবাব তাঁহার চৌকির উপর ধাপ করিয়া চোখ বজিয়া বসিয়া পড়িলেনবহনক্ষণ পর্যন্ত আর তাঁহার কোনরাপ সাড়া-শব্দ রহিল না । কোঁচের পিঠের উপর দাই কনাইয়ের ভর দিয়া পিছনে দাঁড়াইয়া অচলা নিঃশব্দে ব্যান্ডেজ বধিতেছিল । দেখিতে দেখিতে তাহার দাই চক্ষ অশ্রাপণ হইয়া উঠিল এবং অনতিকাল পরেই মন্তার আকারে একটির পর একটি নীরবে ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । সরেশ ইহার কিছই দেখিতে পাইল না ; এদিকে তাহার খেয়ালই ছিল না । সে শািন্ধ, “নিমীলিত চক্ষে স্থির হইয়া বসিয়া, তাহার অসীম প্ৰেমাস্পদের কোমল হাতদ’খানির কারণ সপশ বকের ভিতর অন্যভব করিতে লাগিল । কোনমতে চোখের জল মাছিয়া ফেলিয়া অচলা এক সময়ে চুপি চুপি বলিল, আজি আমার কাছে আপনাকে একটা প্রতিজ্ঞা করতে হবে । সমরেশ ধ্যান ভাঙ্গিয়া চকিত হইয়া উঠিল, কিন্তু সেও তেমনি মদম্পবরে প্রশ্ন করিল, কি প্রতিজ্ঞা ? এমন করে নিজের প্রাণ আপনি নসট করতে পারবেন না । কিন্তু প্ৰাণ ত আমি ইচ্ছে করে নন্ট করতে চাইনে । শািন্ধ পরের বিপদে আমার 夺T函T可卤亿夺习T一凶乙可可T瓦T夺乙豆乙司乙可司宵可可可55可了七 অচলা তাহার প্রতিবাদ করিল না ; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সে যে একটা দীঘ“বাস চাপিয়া ফেলিল, সরেশ তাহা টের পাইল । বাঁধা শেষ হইয়া গেলে সে উঠিয়া ঘড়িাইয়া ধীরে ধীরে বলিল, কাল কিন্তু এ দীনের বাড়িতে একবার পায়ের ধলো দিতে হবে-তাহার দা চক্ষ ছলছল করিয়া উঠিল , কিন্তু কণ্ঠস্বরে ব্যাকুলতা প্রকাশ পাইল না । অচলা অধোমখে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, আচ্ছা । সমরেশ কেদারবাবকে নমস্কার করিয়া হাসিয়া বলিল, দেখবেন, আমাকে নিরাশ করবেন না যেন । বলিয়া অচলার মাখের পানে চাহিয়া, আর একবার তাহার