পাতা:গৃহদেবী - বিজয়রত্ন মজুমদার.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহদেবী - ア তরুণ তর্ক করিবে না ভাবিল, কিন্তু তাহার ভিতরে এমন একটা শক্তি আছে যাহা তাহাকে উদ্দীপ্ত কারিয়া তোলে। সে বলিল-কিসে কুরুচি বল । মা বলিলেন-গোড়া থেকে শেষ পয্যন্ত । এ যে মেয়োটা, কোখাও কিছু নেই, রাতদুপুরে তরুণ বলিল—অবস্তাটি তুমি বুঝে দেখত মা, তাহ’লে তুমি নিশ্চয়ই বুঝবে যে তা করা ছাড উপায় ছিল না । মা তীব্ৰস্বদেশী কহিল-ঢের উপায় ছিল । সে যদি কেরাসিনে পুড়ে মরত কারো কোন দুঃখ ছিল না । , তরুণ স্তম্ভিত হইয়া গেল। সে সত্যবতীর হৃয়য়-মনের উদারতািত্ত্ব পবিচয়ই চিরদিন পাইয়া আসিয়াছে, তাহার ভিন বে যে কোন অংশটা অন্ধকার বা সঙ্গুচিত ছিল এমন কোন দিনই তাহার মনে লয় নাই । সত্যবতী লেখাপডা বেশী জানিতেন না, তরুণ আশ্চৰ্য্য হইয়া যাইত তাহার মনের কথাটি চিরদিনই তাহার সহিত মিলিয়া যায়ণ বিশ্বসাহিত্যের ও সমাজের ধার দিয়া ও তিনি চলেন নাই, কিন্তু এ-ত তরুণ দেখিয়াছে যে তিনি যখনই কিছু বলিয়াছেন, সমস্তই সক্তিসঙ্গত। তরুণ বরাবর কলেজ হইতে বাঙ্গুল্ম! মাসিক পত্র দি আনিয়া দিতে ; দু’জনে পড়িয়া একসঙ্গে তর্ক করিতেন । r আজ তরুণ বিস্মিত হইয়া গেল। বলিবার তাতার অনেক কথা ছিলু; যে চরিত্র সম্বন্ধে এই মাত্র সত্যবতী মত প্ৰকাশ করিলেন, তাহারস্বপক্ষে অনেক কথা সে বলিতে পারিত কিন্তু