পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাস-দাসীর প্রতি ব্যবহার দাস-দাসীরা গৃহস্থালী-রথের চক্ৰ স্বরূপ, এই চাকা যাহাতে ঠিকমত চলে, গৃহিণীর তাহা দেখিতে হইবে। পূৰ্ব্বকালে অনেক গৃহিণী চাকর-বাকরকে নিজের ছেলের মত দেখিতেন,- তাহদের খাওয়া-দাওয়ার সর্বদা তত্ত্ব করিতেন, বাড়ী-ঘরে কে কেমন আছে, তাহার খোজ লহঁতেন ; চাকরীদের অনেক আবদার ধরদাস্ত করিতেন,-তাহার ফলে কোন চাকর কি চাকরাণী যে বাড়ীতে একবার ঢুকিত, সেই বাড়ীতেই আজীবন থাকিয়া যাইত। এ কাজ আমরা করিব না, এই ভাবের বিতর্ক বা জটলা তাহদের মধ্যে প্ৰায়ই দেখা যাইত না। তাহারা যে সকলেই সত্যযুগের সোণার মানুষ ছিল, তাত নহে । তাহদের মধ্যেও ভূতের মত একগুয়ে,-কুমীরের মত আলসে লোকের অভাব ছিল না। হাজার গালি দিলেও কথা নাই,—তবু ইচ্ছ। না হইলে কাজ করিবে না, মধ্যে মধ্যে রাগিয়া উঠিয়। এরূপ চীৎকার আরম্ভ করিত যে, বাড়ীতে তিষ্ঠান দায় হইত,---এই রকম আমরা অনেক দাস-দাসী দেখিয়াছি । কিন্তু এ সকল সত্ত্বেও মানিবের বাটীতে তাহারা স্নেহের বন্ধনে বাধা ছিল, সে বাড়ী ছাড়িয়া অন্যত্ৰ থাকিতে পারিত না। এই মেহের জন্য অজস্ৰ দোষ সত্ত্বেও সে যখন খাটিত বা কোন কাজে লাগিত, তখন প্ৰাণপণে থাটিত । মনিবের জিনিসপত্র নষ্ট হইলে তাহদের বুকে লাগিত, ছেলেদিগকে তাহারা অনেক সময় জনক-জননীর স্নেহে লালন-পালন করিত। বাড়ীর ছেলেরাও তাহাদিগকে নাম ধরিয়া আগেকার দিনের ሻ†ጓ-ሻiጓስ