পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

李 Գ ( 列方画 অপরের অলক্ষ্যে ক্রমাগত উপবাস করিতে লাগিলেন, তখন তিনি কাহাকে ডাকিয়া থাকেন। যিনি নিজের অদৃশ্য অঞ্চল দিয়া মায়ের মতন গোপনে ‘আসিয়া চক্ষের জল মুছাহঁয়া দেন, দুঃখের সময। তাহাবই শরণা লইযা তিনি সাস্তুনা পাইস থাকেন । এই ভাবে শাস্ত্ৰ না পড়িয়াও ভগবানেৰ সঙ্গে তাঙ্গাব পরিচয় হল । উপবাস ও দুশ্চিন্তাষ শব্দীর কুশ, সমস্ত সংসারের ভাব তাহার উপর । ছেলে খাবাপ তইঘা গিযাছে, দুই দিন বাডা আসে। নাই ; স্বামীকে বলিতে গেলে তিনি মুখ ভার কবেন ও কুপুত্রের নাম শুনিতে চান না, – কিন্তু মাতৃস্নেহ কি কোন কালে ন্যায় অন্যাযেব বিচাবি করিম থাকে ?— তিনি দুহাতে চক্ষের জল মুছি যা তখন কাহার শরণ লন ?-অপরের অদৃশ্যভাবে কাহার পায়ে আত্মনিবেদন করিযা দেন ? অন্যায়ভাবে স্বামী গালি দিস গেলেন, কারণ, সাহেবের অপমানে তাগাল মেজাজ কঢ় হইয়া আসিয়াছে ; হয়ত এত কষ্টের রান্নার কোন সামান্য ত্রুটি ধরিয়া কোন ছেলে ভাত না খাইয়া উঠিয়া গিয়াছে,— ভয়ত সকলকে খাওয়াইয়া নিজের খাইবার ব্যঞ্জনাদি কিছুক্ত নাই, ভাতও কম পড়িয়াছে, এ সমস্ত কাতাকে অবিরত স্মরণ করিয়া তিনি সহ্য করেন ? তাহার দুঃখের কথা অনেক সমযই বলিবার নাহে—“বদন পাকিতে না পারি বলিতে তেঁই সে অবোলা নাম”-হিন্দু-ললনা। এইভাবে তাঁহাদের দেবতাকে দিন রাত্রি ডাকিযা থাকেন। কেহ যখন দুঃখ বুঝিবাব নাই, দুঃখ বুঝাইবার শক্তি নাই,-তখন দিনরাত্রি তাঁহাকেই ডাকেন—ধিনি সকলোব অনন্য-শাবণ, একমাত্ৰ গতি ! রোগীর পাশ্বে বসিয়াও সেই নিরাশ্রয়েব "আশ্রয়কে স্মরণ করা ভিন্ন তিনি কি করিতে পারেন । আমাদের দেশে রমণীরা স্বভাবতঃই ধৰ্ম্মভীরু । তাহাদিগকে আমি ধৰ্ম্মের কথা কি বুঝাইব ? তবে তঁাহারা যদি শিশুদিগকে ধৰ্ম্মের উপদেশ দেন, কোন নিয়মিত সময়ে উপাসনা, জপ বা নামকীৰ্ত্তনের জন্য তাঙ্গা