পাতা:গোচারণের মাঠ.pdf/২৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গোচারণের মাঠ।
২১

শোভার সকলি আছে, শোভাও ত আছে,
তবে কেন নিরখিয়া মন নাহি নাচে?
এখন আর ত নাই  নাচনিয়া কাল,
অনেক বিভেদ আছে, সকাল, বিকাল।
সকালে নাচিয়া উঠে সকলের মন,
বিকালে মনের গতি মৃদুল দোলন;
তখন হাসেন ভানু উঠতি বয়েস,
অরুণের শরীরেতে তরুণের বেশ;
কমলে শুকায়ে দেন শিশিরের জল,
মাঠেতে মাখান রঙ্‌ ঈষৎ পীতল;
তরুরে শিরোপা দেন মরকত তাজ,
জগতে জাগায়ে দেন সাধিবারে কাজ,
ঊষার তপন সেই আশার আধার,
বিকালের রবি ছবি বিপরীত তার।
সকালের উষাপতি, মাঝের তপন,
সাঁঝের ভয়েতে এবে বিচলিত হন;
গড়াইয়া পড়ে ভানু থির নাহি রয়,
গেলে রে বয়স কাল হেন দশা হয়।
যে আলোকে পুলকিত হয়েছিল লোক,
ভুলেছিল হৃদয়ের গুরুতর শোক;