পাতা:গোচারণের মাঠ.pdf/২৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২২
গোচারণের মাঠ।

খরতর হলে যাহা সহা নাহি যায়,
অভিভূত ছিল জীব দুপর বেলায়;
এখন আলোক আছে,—আভা তাহে নাই,
রোদ যেন ভাঙা ভাঙা করে সাঁই সাঁই।
তখন তপন-কর ঝলসে, ঝলকে,
তর তর সরে এবে পলকে পলকে;
বড় লোক হীন-মানে কারো নাহি লাভ,
তপন পতনে হের জগতের ভাব।
মলিনী কমল-মণি, মুদিছে নয়ন,
হু হু হু হুতাশ ছাড়ে দুখে সমীরণ।
কাঁদে গাছ, ঝরে পাতা, কুসুম শুকায়,
দুলিয়া দুলিয়া লতা মরম জানায়;
তেঁতুল, বাবলা, বক, জড় সড় হয়,
হিয়ায় লেগেছে আসি আঁধারের ভয়।
মাঠেতে সবুজ লীলা ভরপূর ছিল,
পাতলা হলুদে এবে শরীর ঢাকিল;
বুড়ুটে বুড়ুটে রঙ—ঘোলা ঘোলা মত,
জলুস, তরাস নাই, আভা নাই তত;
নদগদ নড়ে গাভী, ধায় না বাছুর,
অতি ধীরে লেজ নাড়ে, নীরবেতে খুর;