দুবার ভিতর বুড়ি মএনা আছে নুকাইয়া।
ট্যার চোকে বুড়ি মএনা জ্ঞাতাক দেখিল।
পাচত জাএয়া বুড়ি মএনা পায় দুব দুব দিল॥
খেতুআর তরে কথা বলিতে নাগিল॥
ওরে খেতুআ বেটা হইয়া পরিক্খা দিলি তৈল্লত ফ্যালেয়া।
রাস্তায় ছাড়িয়া আরো জাইস পালাইয়া॥৭০৫
মা মা বলিয়া রাজা কান্দিবার নাগিল।
পালালু পালালু মা কপালে নাথি দিয়া।
মা-বদি নাম থাকিল আমার রাজ্য ভরিয়া॥
তাতে বেটি গল্প কল্লে আমার বরাবর।
এক কোনা পরিক্খায় বেটি গ্যাল জমের ঘর॥৭১০
জননির শোকে রাজা কান্দিতে নাগিল।
তৈল্লতে থাকিয়া বুড়ি ধেয়ানে দেখিল॥
মএনা বলে ভগবান্ আমি নাই জাই মরিয়া।
এক ডণ্ড আছি আমি বাও সঞ্চর হৈয়া॥
তাতে আমার পুত্ত্র ধন কাঁদে লায়লুট হৈয়া॥[১]৭১৫
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠ:—
খেতুর কান্দনে ময়নার দয়া হইল।
হাড়াহাড়ি মার গেইছে জলিয়া।
কিএলা শস্ করি আমি গঙ্গা নিগিয়া॥
জখন ধম্মি রাজা খেতুআক দেখিল।
খেতুআর তরে কথা বলিবার নাগিল॥
সোল জনে ন্যাও কড়াই ঘাড়োত করিয়া।
তেপপা ঘাটাত তৈল ফ্যালাও ঢালিয়া॥
জখন তৈল আমার মৃত্তিঙ্গাএ পড়িল।
চৌদ্দ তাল ব্রম্মমাতা জলিয়া উঠিল॥
আগুন দেখিয়া খেতু ভয়ঙ্কর হৈল।
মাও মাও বলিয়া খেতু কান্দন জুড়িল॥