পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জন্মখণ্ড

মহৎ মহৎ বৈলে রাইয়ত তুলিয়া ছাড়ে রাও।
ঘরে ছিল মহৎ বাহিরে দিল পাও॥


    হাঁস কত গুলা দেন ঘাটে উছরগিয়া॥
    ধূপ সিন্দুর দেন ঘাটে জ্বালাইয়া॥
    অফিন্না বিন্নার থোপ আনে উপারিয়া।
    নাংটি চিপিয়া সাপ দেন ছাড়িয়া।
    ঐ সাপ নিলে অঞ্চল পাহিয়া॥
    পাঠান্তর:— ছোট রাইয়ত বলে দাদা বড় রাইয়ত ভাই।
    চল সকল মেলি জুক্তি করি পরামানিকের বাড়ি জাই॥
    চল চল জাই দাদা পরামানিকের নাগিয়া।
    কি বুদ্ধি যায় পরামানিক আমাকে নাগিয়া॥
    এক রাজ্ঞা না পাইয়া রাইয়ত পরজা দুইও রাজ্ঞা পাইল।
    পরামানিক মহলক নাগি গমন করিল॥
    এক জন বেরায় দুই জন বেরায় বেরায় হল্‌কে হল্‌কে।
    এইঠে হতে ঠ্যাং নাগ্‌লো পরামানিকের মহালে॥
    বসিয়াছে পরামানিক দিব সিঙ্গাসনে।
    হ্যান কালে রাইয়ত পরজা রূপস্থিত হৈল॥
    গৈরমুণ্ড হএয়া পরামানিকক পরনাম জানাইল।
    হাতে মাতে পরামানিক চমকিয়া উঠিল॥
    পরামানিক বলে শুন পরজাগন বচন মোর হিয়া।
    এত দিন না আইস আমার মহাল চলিয়া।
    আইজ বা ক্যানে আইলেন আমার মহালক নাগিয়া॥
    সুখিতা রাইয়ত আমরা দুস্‌কু নাহি পাই।
    কারো পুস্কনির জল আমরা কেহ নাহি খাই।
    কারো মারলি দিয়া কেহ নাহি জাই॥
    সোনার ভ্যাটা দিয়া আমার ছাওআলে খ্যালায়।
    হ্যান দুক্‌খি কাঙ্গাল নাই ধরিয়া পালায়॥
    এক দক্‌খিন দেশি বাঙ্গাল আমিন চলিয়া।
    দেওয়ানগিরি চাক্‌রি নিলে রাজার দরবাবে আসিয়া॥