পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পণ্ডিত খণ্ড
১৪১

শুব শুব করিয়া ঠাকুর পাঞ্জি বেইর কইল টানিয়া।
আপনে ধর্ম্মের পাঞ্জি[১] বোলে রাও দিয়া॥
প্রথমে গুনিল ঠাকুর সরগের জত তারা।১২০
তার পচ্ছাত গুনিলেক পাতালের বালা॥
তার পচ্ছাত গুনিলেক বিরিখের পাত।
অবশেষে গুনিলে ঠাকুর ভরন হাড়ির ভাত।
গনিতে গণিতে ঠাকুর এক দুপর করিল।
খোসা দ্যাওয়া বাড়ির কথা মনতে পড়িল॥১২৫
ও পাত আখিয়া ঠাকুর আর এক পাত নিল।
রাজাক তরে কথা বলিতে নাগিল॥
সত্য কথা থুইলে পণ্ডিত একতার করিয়া।
মিত্থা গননা রাজার পণ্ডিত দ্যাএছে গনিয়া॥
পণ্ডিত বলে শুন রাজা বিলাতের নাগর।১৩০
এওবার কার সমএ আমি না পাইলাম কুশল॥
আমার পাঞ্জি রাখিবার কহে এ বার বৎসর॥
তোমার পাকুক চুল দাড়ি অদুনার মাথার ক্যাশ।
ছোট রানির অবশ্যাসে হয়েন পরদ্যাশ॥[২]
জ্যান কালে দৈবক ঠাকুর একথা বলিল।১৩৫
হাতে মাতে ধম্মিরাজ চমকিয়া উঠিল॥
মাও আমাক সন্ন্যাস করায় এই শুকুরবারে।
এ বেটা থাকিবার ব’ল্ল এ বার বচ্ছরে॥


  1. গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে—

    ‘ধম্মের পাঞ্জি’ স্থলে ‘সিদ্ধান্তর পঞ্জিকা’।

  2. পাঠান্তরঃ—

    এবারকার সন্ন্যাস তোমার না পাইলাম কুশল।
    এ বছর থাক মহারাজ ধৈরন ধরিয়া।
    এক ছাওমালের বাপ হৈয়া জাও সন্ন্যাস নাগিয়া॥