তোমার চরনে মরিমো গলাএ ছুরি দিয়া॥
রাজা বলে ওগো রানি,—৩৫০
আগে জদি আমার প্রান ডাকু ফ্যালাইল মারিয়া।
পচ্ছাৎ তুমি কি করিবে নারিবদ্দ দিয়া॥
রানি বলে শোন রাজা ধম্ম অবতার।
এত জদি জানেন প্রভু জরু প্রানের বৈরি।
তবে ক্যানে বিয়াও কল্লেন এক শত রানি॥৩৫৫
এক শত রানিকে প্রভু গলাএ বান্ধিয়া।
এলায় নিয়া জাবেন তুমি সন্ন্যাস নাগিয়া॥
বার বছর জাএন গোসাঞি রুদাসিন হৈয়া।
রাজ্য পাট সিঙ্গাসন কে নিবে পালিয়া॥
জখন ছিলাম আমরা আচলে শিশুমতি।[১]৩৬০
তখন ক্যানে ধম্মি রাজা না হইলেন সন্ন্যাসি॥
এখন হইলাম আসিয়া আমি তোমার যোগ্যমান।
মোক ছাড়িয়া হবু বৈরাগ মুঞি তেজিম পরান॥[২]
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে:—
তুমি হবু বটবৃক্ষ আমি তোমার লতা।
রাঙ্গা চরন বেড়িয়া লমু পালাইয়া যাবু কোথা॥
যখন আছিনু আমি মা বাপর ঘরে।
তখন কেনে ধম্মিরাজা না গেলেন সন্ন্যাসি হইয়ে॥
এখন হইনু রূপর নারী তোরে যোগ্যমান।
মোকে ছাড়িয়া হবু সন্ন্যাস মুই তেজিম পরান॥ - ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই:—তোমারে আগে কাল যৌবন মোর পড়ুক গড়িয়া।
পাকিলে মাথার চুল যাবেন সন্ন্যাস হইয়া॥
নিরবধি ঝোড়ে প্রান স্যামী বলিয়া॥
এ রঙ্গ মালতীর ঘরে লইয়া পড়ে ডাল।
নারী হইয়ে রঙ্গ রূপ রাখিমু কত কাল॥
কত কাল রাখিমু যৌবন বান্দিয়া ছান্দিয়া।