সাইঙ্গ করিয়া ন্যাও রাজাক কান্দে করিয়া।
শস্ করিবার জাই গঙ্গাক নাগিয়া॥৫৭৫
গঙ্গাক নাগিয়া জ্ঞাতা সক্কল গমন করিল।
গঙ্গার কুলে জাএয়া রুপস্থিত হৈল॥
রাজার বাম হস্ত ময়না সিতান দিল॥
একখান করিয়া খড়ী দিল নগরি ঘরে ঘরে।
আকাস জমিনে খড়ী ঠেক লাগিল॥
চোয়া চন্দন ছিটাইল চন্দ্র সদাগর।
অনল লাগাইয়া দিতে নাই এক রতি॥
দুয়ারের আগত ছিল গুরু পারনের ঘর।
তাঁয় উকা তুলে দিল হস্তর উপর॥
যত জ্ঞাস্তা সকল এক হাড়ী জল দিয়া।
সাইঙ্গত করিয়া এক পাক দুই পাক পাঁচ পাক দিল।
হরিবোল বলিয়া আনল লাগাইয়া দিল॥
যত ঘড়ী ব্রহ্মা ঘৃতের বাস পাইল।
ধাঁ ধাঁ করিয়া অনল জ্বলিবার লাগিল॥
সাত দিন নও রাইত ময়না অনলের ভিতর।
পুড়িতে পোড়া না যায় পরিধানের কাপড়॥
ধর্ম্মি রাজাক পোড়াইয়া ময়না কোলাতে কৈল ছাই।
ঐত ময়না বৈসে আছে যেন ঘরের গোসাই॥
ধর্ম্মি রাজাক পোড়াইয়া সর্গে উঠিল ধুয়া৷
বৈসে আছে ময়নামতি যেন কাঁচা সোনা॥
ছোট জ্ঞাস্তা উঠে বলে বড় জ্ঞাস্তা ভাই।
ফিক দেও ফিক দেও জ্ঞান্তা সকল॥
ময়নামতী বৈসে আছে অনলের ভিতর।
ময়না বলে সুন জ্ঞাস্তা সাত মাসী ছেলে আছে উদরের ভিতর॥
ফিক না দেন জ্ঞাস্তা সকল॥
ছোট জ্ঞাস্তা উঠে বলে বড় জ্ঞাস্তা ভাই।
চান্দের বরাবর চল চলিয়া যাই॥