জখন বুড়ি মএনা ফেরুসা চলিয়া গ্যাল।
রদুনা পদুনা রানি রাজার দরবার গ্যাল॥৪৩০
রদুনা বোলে শোনো দিদি পদুনা নায়র দিদি।
আর গৃহে না রয় আমার সোআমি নিজপতি॥
কি বুদ্ধি কর দিদি কিবা চরিত্তর॥
কড়াটিকের বুদ্ধি নাই মোর শরিলের ভিতর॥
সাম্টা ফ্যালা ডালি নইলে কাকতে করিয়া।
ছড় দ্যাওয়া নান্দিয়া মস্তকে করিয়া।
কলিঙ্কার বন্দরক নাগিয়া চলিল হাটিয়া॥
এক এক পা ফ্যালে হাড়ি আশে আর পাশে।
আর এক পা ফ্যালে বেআল্লিশ ক্রোশে॥
জেইখানে পড়ে হাড়ির পদের ভরি।
সেইখানে হয় একটা সরলা পুকুরি॥
ধিরে চলিছে হাড়ি কৈরাছে গমন।
কলিঙ্কার বন্দরে জাইয়া দিলে দরশন।
সোআ ক্রোশ অন্তরে হাড়ি রহিল বসিয়া।
প্রথমে হুঙ্কার ছাড়ে ঝাড়ু বলিয়া।
আপনে ঝাড়ু ব্যাড়ায় হাটখোলা সাম্টিয়া॥
তারপরে মারিলে হুঙ্কার ডালি বলিয়া!
আপনে ব্যাড়ায় ডালি সাম্টা ফ্যালেয়া॥
তার পরে মারিলে হুঙ্কার কোদালক বলিয়া।
আপনে কোদাল ব্যাড়ায় হাটখোলা চেচিয়া।
তার পরে মারিলে হুঙ্কার নান্দিয়া বলিয়া।
আপনে নান্দিয়া ব্যাড়ায় ছান ছিটিয়া॥
হাতে না ঠেলিলে হাড়ি পাত্র না ঠেলিলে।
মুখের জবাবে হাড়ি চারি কম্ম কুলাইলে॥
একটা গাঞ্জার ডাল হস্তে করিয়া।
পাগলা হস্তির মত চলিল হাটিয়া॥
ওখানে থাকিয়া হাড়ির হরসিত মন।
মএনার মহলে জাএয়া দিল দরশন॥