নটী হৈয়া মোর শিষ্য রাখিলা আপন।
দিনেতে উপাস কর রাত্রিতে ভৈক্ষন॥
জে মুখে খাইবা তুমি সে মুখে বর্ষিবা।
দিবসে উলটা হৈয়া টাঙ্গনে রহিবা॥
এহি শাপ দিল যদি সিদ্ধা হারিফাএ।
রাত্রিতে উলটা হৈয়া গাছে জে থাকএ॥
তবে দুই গুরু শিষ্যে একযোক্ত হৈয়া।
মেহেরকুলে গেল দুই জন বাস উঠাইয়া॥
কর জোড়ে গুবিচন্দ্র বুলিলা বচন।
আজ্ঞা কর দেখি গিয়া মাএর চরণ॥*॥
জে মুক্ষে খাইবে তুমি শে মুক্ষে বরশ্চিবা।
দিবসে উলটা হৈয়া টাঙ্গনে রহিবা॥
ইহার পর পুঁথি খানি খণ্ডিত হইয়া গিয়াছে। গ পুঁথির পাঠ অনেকটা আদর্শের অনুরূপ। তাহাতে
‘নটী হৈয়া মোর শিষ্য রাখিলা আপন।
দিনেতে উপাস কর রাত্রিতে ভৈক্ষন॥’
দুই পঙ্ক্তি নাই; কিন্তু ‘জে মুখে খাইবা তুমি সে মুখে বর্ষিবা’ এই চরণের পর নিম্নলিখিত অংশ বেশী আছে।
বার বছরের তরে থাক এইখানে।
তার পর উদ্ধারিবে শিষ্য মহাজনে॥
কি আশ্চর্য্য কি আশ্চর্য্য দেখিল সকলে।
নটীর শাপেতে সিদ্ধা বাদুর হইলে॥
নটীর শাপেতে গুরু বাদুর তখন।
দিনে উপবাস করে রাত্রিতে ভক্ষণ॥
সিদ্ধাকে রাখিয়া রাজা করিল গমন।
আপন দেশের দিকে চলে ততৈক্ষণ॥
জেই খানে মৈনামতি বাহির দালানে।
মাএ পুত্রে দেখা হইল গিয়া সেইখানে।
রাজার কুশল বার্ত্তা জিজ্ঞাসিয়া মাতা।
বহু সুখে থাকে সদা হৈয়া আনন্দিতে॥