পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪১৮
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

ডাহুকার গড়ে যাবে কানুফার কন্ধ।
মৃকুলে পুতিবে হাড়িক রাজা গোপীচন্দ্র॥
নও লাখ চোরাশী সিদ্ধার মধ্যে এ চারি ভাজন
চারি সিদ্ধাক শাপ দিল এহিত কারণ॥
এহি মতে শাপ দিল হেমন্তদুহিতা॥
সেই শাপ হন্তে গেল হাড়িফা পোতা॥
মাটির ভিতরে হাড়ি নাহি পায় ব্যাথা॥
মন দিয়া শুন সবে হাড়িফার কথা॥
হুহু শব্দ করি সিদ্ধা হুহুঙ্কার চাড়িল।
বন্ধন আছিল যত বিমোচন হইল॥
হাতেতে আছিল বন্ধন হইল জপমালা।
বুকেতে আছিল পাথর যোগপাটা হৈলা॥
বন্ধনের দড়ি হইল কমরের ডোর।
নিজ নাম লয়ে হাড়ি হইল বিভোর॥
মাটীর ভিতরে তখন হইল এক গোফা।
আসন করিয়া তথা বসিল হাড়িফা॥
ভাল মন্দ তখন কিছু নাহি জানে।
চক্ষু মুদে রৈল হাড়ি গুরুর ধিয়ানে॥
এইরূপে রৈল সিদ্ধা গোড়ার পৈঘরে।
চার রাণী লয়ে রাজা সুখে বিরাজ করে॥
ঘোড়ার পৈখরে হাড়িফা রৈলেন পোতা।
এখন কহিব আমি কানুফার কথা।
হুকুর মামুদ কয় গুরুর চরণে।
অশুদ্ধ থাকিলে শুদ্ধ করিবে মহাজনে॥

মাটীর ভিতরে হাড়ি আসন করিয়া।
মহাদেবের নিজ নাম অন্তরে জাপিয়া॥