পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যান
৪১

এইরূপে হাড়িফা রৈল পঞ্চ বৎসর।
কানুফা জানে না কিছু গুরুর খবর॥
ধ্যানেতে কানুফা সিদ্ধা আছিল বসিয়া।
খেদান্বিত হইল গুরুকে না দেখিয়া॥
কানুফা বলেন ধ্যান করি অকারণ।
গুরুর চরণে যার মন নাহি বান্ধে।
পার হৈতে নাহি নৌকা হাতে মাথে কান্দে॥
কানুফা বলেন আমি করিব কেমন।
কোথা গেলে পাব আমি গুরুর দরশন॥
এতেক ভাবিয়া কানাই ধ্যান ভঙ্গ দিল।
বাইল ভাদাই তরে ডাকিতে লাগিল॥
গুরুর আদেশে তারা আইল চলিয়া।
সাক্ষাতে বসিল গুরুর চরণ বন্দিয়া॥
কানুফা বলেন শুন বাইল ভাদাই।
শীঘ্র করি আন রথ শুন মোর ঠাই॥
শুনিয়া কানুফার কথা বিজয় গমন।
ত্বরিত করিয়া যাইয়া রথের সাজন॥
গঙ্গাজল দিয়া রথের স্নান করাইল।
হীরা মাণিক্যে রথ সাজাইতে লাগিল॥
হীরা দিয়া বান্ধিল রথের বত্রিশ চাকা।
রথেতে তুলিয়া দিল সুবর্ণ পতাকা॥
চূড়াতে বান্ধিল রথের হাড়িয়া চামর।
সুগন্ধের লোভে তাথে বেড়িল ভ্রমর॥
নানান প্রকারে রথের করিল সাজন।
রাজহংসে বহে রথ সারথি পবন॥
নানান প্রকারে রথের সাজন করিল।
প্রণাম করিয়া তবে সাক্ষাতে কহিল॥
কানুফা বলেন বাছা বাড়ুক প্রমাই।