পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২০
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

চারি যুগ ভিতরে বাছা আর মরণ নাই॥
রথ দেখিয়া আনন্দিত হইল কামাই।
গুরুর উদ্দেশে[১] সিদ্ধা সাজিতে লাগিল।
কমরপটী দিয়া সিদ্ধা কমর বান্ধিল॥
রুদ্রাক্ষ ফলের মালা গলে তুলে দিল॥
কপালেতে দিল সিদ্ধা চন্দনের ফোটা।
কর্ণেতে কুণ্ডল দিল গলে যোগপাটা[২]
হাড়িফার নিজ নাম অন্তরে জপিয়া।
রথেতে চড়িল সিদ্ধা সিংহনাদ পূরিয়া॥
কানুফার রথের আমি কি কহিব কথা।
পূর্ব্বদিকে গেল রথ দিবাকর যথা॥
উদয়গিরি[৩] পর্ব্বতে সিদ্ধা রথ রাখিয়া।
ঘরে ঘরে বেড়ায় সিদ্ধা গুরু তল্লাসিয়া॥
ভিক্ষার ছলে ঘরে ঘরে করিল ভ্রমণ।
কোন খানে না পাইল গুরু দরশন।
না পাইয়া গুরুর উদ্দেশ[৪] ভাবিতে লাগিল।
গুরু সত্বরিয়া পুনঃ রথেতে চড়িল॥
চলিল কানুফার রথ বাঁয়ে করি ভর।
দক্ষিণ দিগে গেল রথ যথাতে সাগর॥
সেতুবন্ধ স্থানে সিদ্ধা রথ রাখিয়া।
কিষ্কিন্ধ্যা নগরে সিদ্ধা উতরিল গিয়া॥
ঘরে ঘরে তালাসিয়া বানরের নগর।
তথাতে না পাইল গুরুর খবর।
পঞ্চবটী দিয়া রথ করিল গমন।
গুহক চণ্ডালের পুরীত দিল দরশন॥
অরণ্য মাঝারে সিদ্ধা রথ রাখিল।


  1. ‘উদ্দিশে’
  2. ‘গজপাটা’।
  3. ‘উদাগিরি’।
  4. ‘উদ্দীশ’।