তোমার গুরুর কথা কয়া দিব আমি॥
গোরেক বলেন ভাই শুন আমার ঠাঁই।
মৃকুল সহরে আছে ময়নামন্ত্রি রাই।
গোপীচন্দ্র নামে রাজা তাহার নন্দন।
উনিশ বৎসর কালে তাহার মরণ॥
যখন হইল বালক দ্বাদশ বৎসর।
জ্ঞান দিতে গেল হাড়ি করিতে অমর॥
নিজ নাম বীজমন্ত্র কর্ণে শুনাইল।
স্ত্রীর উপরে চিত্ত নাম মনে না থাকিল॥
জ্ঞান পরীক্ষিতে গেল পুষ্করিণীর কূলে।
পুষ্করিণী শুখান রৈল না ভরিল জলে।
সত্য বলে দিল নাম মিথ্যা বলে ধরে।
গোস্সায় পুতিল হাড়িক ঘোড়ার পৈঘরে॥
গোরেক বলেন দাদা শুন মেরা ঠাই।
চণ্ডীর শাপে পোতা গেল দোষ কিছু নাই॥
আমার সেবক হইয়াছিল ময়নামন্ত্রি।
তাহার পুত্রক বাঁচাইতে করহ যুকতি॥
আপন গুরুকে তুমি করগা উদ্ধার।
বাঁচাইয়া লহ তুমি মুনির কুমার॥
শাপ দিয়া মুনির যদি পুত্র পায় কাল।
দূষী হইবে হাড়ী বাড়িবে জঞ্জাল॥
শ্লোক
কোকিলানাং স্বরোরূপং নারীরূপং পতিব্রতা।
বিদ্যারূপং কুরূপানাং ক্ষমারূপং তপস্বিনাম্॥
কোকিলের রূপের কথা শুন মেরা ঠাই।
সর্ব্বাঙ্গ শরীর কাল রূপের কিছু নাই॥
রাঙ্গা দুটী চক্ষু কুলীর কি গুণে বাখানি।
শাস্ত্রে নাহি রূপ কুলীর রূপের কেবল ধ্বনি॥