পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪২৯

আমার গুরুক পোঁতে ঘোড়ার পৈঘরে।
কাইল আইজ নহে হৈল পঞ্চ বৎসরে॥
এ কথা শুনিয়া মুনির চক্ষে পড়ে পানি।
গুরুকে পুতিল পুত্র আমিত না জানি॥
এ ভব সংসারে যার নাম জলন্ধর।
চুলে করে পিতে পারে এমন্ত সাগর॥
তাহাকে পুতিল বেটা কোন প্রাণে ধরে।
হুহুঙ্কারে পাঠাবে বেটাকে জমের নগরে॥
হায় হায় করে মুনি ভাবে মনে মনে।
হাড়িফার কোপে পুত্র বাঁচিবে কেমনে॥
আঠার বৎসর সবে বালকের প্রমাই।
সেই পুত্র পুতিল আমার হাড়িফা গোঁসাই॥
গোরক্ষের সেবক আমি যমের নাহি ডর।
হাড়িফার কারণে প্রাণ বিয়াকুল আমার॥
হাড়িফার নাম শুনি যমরাজা ডরে।
তাহার সনে বাদ করে মনুষ্য শরীরে॥
হায় হায় করে মুনির চক্ষের পড়ে জল।
কান্দিতে কন্দিতে মুনি পড়ে ভূমিতল॥
কানুফা বলেন মুনি কান্দ অকারণ।
পুত্রেক বাঁচাবার হেতু করহ এখন॥
যতি গোরক্ষের বরে হইল কুমার।
যেরূপে বাঁচিবে ইঁহার করহ বিচার॥
সোনার আনিয়া কর সোনার গোপীচন্দ্র।
সাক্ষাতে রাখিব তাহাকে করিয়া প্রবন্ধ॥
যখন জিজ্ঞাসিবে গুরু করিতে স্বীকার।
সোনার গোপীচন্দ্রক কর মুনির কুমার॥
কোপ করি শাঁপ দিবে গুরু জলন্ধর।
সোনার গোপীচন্দ্র যাবে যমের নগর॥