পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৩১

কানুফা বলেন মুনি আনহ বেলদার।
এবে সে জানিবে তোমার পুত্রের নিস্তার॥
এতেক শুনিয়া মুনি বেলদার আনিল।
ঘোড়ার পৈঘরে তখন খুঁড়িতে লাগিল॥
খুঁড়িতে পাইল তখন হাড়িফার গোফা।
যোগ ধ্যানে বসি তথা আছেন হাড়িফা॥
চক্ষু মুদিয়া আছে হাড়ি কিছু নাহি জানি।
কানুফা বলেন পুতুল আনহ ছামনি॥
হাড়িফার ছামনে পুতুল আনিয়া রাখিল।
মানুষের আকৃতি পুতুল দাঁড়াইয়া রহিল॥
হাড়িফার সাক্ষাতে কানাই সিংহনাদ পূরিল
সিংহনাদ শুনিয়া মুনিব ধ্যান ভঙ্গ হইল॥
চেতন পাইল যখন হাড়িফা জলন্ধর।
কানুফা প্রণাম করেন জুড়ি দুটী কর॥
গলে বসন দিয়া মুনি বন্দিল চরণ।
একে একে প্রণাম করিল সর্ব্বজন॥
প্রণাম করিল সবে সিদ্ধা যত জন।
প্রণাম না করে কেবল পুতুল রতন॥
দেখিয়া জ্বলিল হাড়ি অগ্নি অবতার।
কানুফার তরে বলে কি নাম ইহার॥
কহিল কানুফা তখন করি মায়াবন্ধ।
সাক্ষাতে আছেন রাজা সোনার গোপীচন্দ্র॥
শুনিয়া হাড়িফা সিদ্ধা হুহুঙ্কার ছাড়িল।
সুবর্ণ পুতলী তখন ভস্ম হয়ে গেল॥
ভস্ম হইয়া গেল যখন সুবর্ণ পুতুলী।
তখনে আনিয়া দিল সিদ্ধের ঝুলী॥
সোওা কুচলা সিদ্ধা হস্তে করি নিল।
সোওা মণ ধুতুরার ফল তাথে মিশাইল॥