পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৩৩

গুরু হইয়া সেবকের করহ উদ্ধার।
প্রলয় কালেতে তার করিবে বিচার॥
মুনির বচনে হাড়ীর গোস্বা হইল মন।
কহিতে লাগিল সিদ্ধা সাঁপ বিমোচন॥
হাড়িফা বলেন শুন ময়নামন্ত্রি রাই।
উদ্ধার করিবেক পুনঃ বাইল ভাদাই॥
এতেক শুনিয়া সবে আনন্দ হইল।
জয়ধ্বনি শঙ্খধ্বনি সিংহনাদ পূরিল॥
কানুফা বন্দিল পুনঃ হাড়িফার চরণ।
ডাহুকার গড়ে যায়া চড়ে রথে আরোহণ॥
ডাহুকার গড়ে গেল সিদ্ধা কানাই।
হাড়িফার নিকটে গেল ময়নামন্ত্রি রাই॥
মুনি বলে শুন তুমি হাড়িফা গোঁসাই।
আঠার বৎসর আমার বালকের প্রমাই॥
উনিশ বৎসর কালে নাহিক উপায়।
সেবক করিয়া তুমি রাখ রাঙ্গা পায়॥
সংসারের মধ্যে গুরু তুমি ব্রহ্মজ্ঞান।
সেবক করিয়া দিয়া রাখ নিজ নাম॥
হাড়িফা বলেন শুন ময়নামন্ত্রি রাই।
নিজ নামের কথা মুনি শুন আমার ঠাই॥
স্ত্রী লয়ে করে যে জন সংসারে বসতি।
অমর হইতে পারে কি তার শকতি॥
রাজ্য করে গোপীচন্দ্র লয়া চারি রাণী।
কেমন করিয়া তারে জ্ঞান দিতে পারি॥
নারী পুরী ছাড়িয়া যখন হইবে দেশান্তর।
সেবক করিয়া তখন করিব অমর॥
গলে কেথা পরাইবে চিম্‌টা লবে হাতে।
মাথা মুড়াইয়া যখন দাঁড়াবে রাজপথে॥

৫৫