পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪০
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

মুনি বলে শুন বাছা তুমি আমার স্থানে।
সেবক করাব তোমাকে হাড়িফার চরণে॥
যেই মাত্র গোপীচন্দ্র শুনিল হাড়ির নাম।
কর্ণে হাত দিয়া রাজা বলে রাম রাম॥
হাড়িফার কথা শুনি রাজা কান্দিতে লাগিল।
মুখের তাম্বুল রাজা তখনি ফেলিল॥
গোপীচন্দ্র বলে মা গেল জাতি কুল।
হাড়িফার সেবক হব আর নাহি মূল॥
মালী তেলী আছে যত আছে কায়স্থ কামার।
ব্রাহ্মণ যবন[১] আছে সবার প্রধান॥
এতেক থাকিতে আমি লব হাড়ির জ্ঞান।
লোকেতে দুর্নাম গাবে না থাকিবে মান॥
এহিত সংসারে আছে কত জাতি লোক।
রাজা হয়ে হব আমি হাড়িফার সেবক॥
এহি বলে কান্দে রাজা চক্ষে পড়ে পানি।
পিতা অসম্ভবে জাতি ডুবাইল জননী॥
হায় হায় বলিয়া রাজা মারিল কপালে।
বসন ভিজিল রাজার নয়নের জলে॥
মুনি বলে শুন বাছা রাজার কুমার।
জাইতে ছাড়ি লয়ে বাছা হাড়িফা জলন্ধর॥
ছোট বলি বল বাছা হাড়িফা শুনিলে কানে।
সাঁপ দিয়ে ভস্ম করিলে বাছা রাখে কোন জনে
হাড়ি য় হাড়ি নয় হাড়িফা জলন্ধর।
চুলে করি পিতে পারে এ সপ্ত সাগর॥
জ্ঞানে ধ্যানে হাড়িফা বান্ধিয়াছে চূড়া।
দিবা রাত্রি ফিরে হাড়ি যমকে করি ঘোড়া॥
যম রাজা হয় যার নিজের চাকর।

  1. ‘যৌবন’