চন্দ্র সূর্য্য দুই জন কুণ্ডল কানের॥
পঞ্চ বৎসর পোতা ছিল ঘোড়র পৈথরে।
অন্ন জল না খাইল তবু তো না মরে॥
রাত্রি দিবা করে যে জন গুরুর সেবন।
তাহাকে না জানে কোন মনুষ্য রতন॥
হেন গুরু মিলিল বাছা কপালের ফলে।
বুদ্ধি হারাইলে কেন কামিনীর ছলে॥
তোমাকে বলি বাছা ছাড় স্ত্রীর আশ।
হাড়িফার চরণ সেবি হওগা সন্ন্যাস॥
মুনি বলে শুন তুমি রাজার কুমার।
যেরূপে হইল শুন জনম সিদ্ধার॥
ত্রিপদী।
হাড়িফার যত গুণ, কর্ণ পাতিয়া শুন,
যেরূপে জন্মিল জলন্ধর।
অনাদ্যের ঘাম হৈতে, চণ্ডিকা জন্মিল তাথে,
দুর্গা হইল পরমা সুন্দর॥
ডাহুকার অধিষ্ঠাত্রী, নাম ধরেন পার্ব্বতী,
ত্রিভুবনে মোহন আকার।
চণ্ডিকার রূপ দেখি, অনাদ্য হইল সুখী,
নাহি ছিল সংসারের সার॥
অনাদ্য ঘটাইল মায়া, দেবী বাম হস্তে লয়া,
তাহাতে জন্মিল চারি জন।
ব্রহ্মা বিষ্ণু দুই ভাই, ছোট হইল শিবাই,
নাম (?) গেল পাতাল ভুবন॥
দেখি প্রভু ভাবে মনে, মরি তবে নিরাঞ্জনে,
কেবা চণ্ডী করিবে পালন।
অনাদ্যের অঙ্গীকার, সংসাস সৃষ্টি করিবার,
কারে চণ্ডী করি সমর্পণ॥