পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৪৫

প্রাতঃকালে স্নান করি হস্তে লইলাম খড়ি।
পড়িবার কারণে যাই দ্বিজ গুরুর বাড়ী॥
এইরূপে শাস্ত্র পড়ি গুরু পাঠশালে।
উদয় হইল গুরু আমার কপালে॥
গুরুর বাড়ী যাই [আমি] শাস্ত্র পড়িতে।
দৈবযোগে দেখা হইল যতি গুর্খের সাতে॥
অপূর্ব্ব গমনে নাথ যায় শূন্যপথে।
আমার রূপ দেখি নাথ লাগিল কহিতে॥
গুরু বলে কন্যার রূপের বালাই যাই।
এমন সুন্দর কন্যা কভু দেখি নাই॥
হাতে পদ্ম পায়ে পদ্ম কপালে রত্ন জ্বলে।
এমন সুন্দর কুমারী শরীর নির্ম্মলে॥
করতলে পদ্মফুল নখ চাম্পার কলি।
রূপ দেখি যেন আমি চন্দ্রের পুতলী॥
রূপের করিয়া ব্যাখ্যা লাগিল কহিতে।
এমন বালক যাবে যমের পুরীতে॥
গুরু বলে আজ নাম খিয়াতেক রাখিব।
নিজ নাম দিয়া কন্যাক অমর করিব॥
এতেক ভাবিয়া নাথ আপনার চিতে।
রথ হইতে দাঁড়াইল নাথ রাজপথে॥
পুরুন আছিল নাথের তাম্রের পতি।
আছিল দর্শনে নাথের কর্ণে দিল মোতি॥
মুখেতে আছিল নাথের পরিপক্ক দাড়ি।
পায়েতে সোনার খড়ম হাতে সোনার নড়ী॥
গলায় দেখিনু তার ভাঙ্গ ধুতুরার ঝুলী।
সিংহ আছিল আর বগলে বগলী॥
রুদ্রাক্ষ ভদ্রাক্ষ মালা গলেতে শোভন।
যুগীরূপ দেখিনু চিতে না ভাবিনু আন॥