পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪৬
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

গলে বসন দিয়া করিলাম প্রণাম।
যোড়হাতে গুরুদেবের বন্দিনু চরণ॥
দেখিয়া তুষ্ট হইলেন গুরু মহাজন।
নাথ বলে কন্যা ধর্ম্মজ্ঞান অতি।
অতিত দেখিয়া করে এতেক ভকতি॥
অলপ বয়সে কন্যা বুদ্ধির সাগর।
বুঝিব কন্যার মন আছে কত দূর॥
এতেক ভাবিয়া নাথ আপনার চিত্তে।
প্রবন্ধ করিয়া নাথ লাগিল কহিতে॥
গুরু বলেন বছা শুন আমার ঠাই।
সাত দিন হইল আমি কিছু খাই নাই॥
যদি তুমি আমার তরে করাও ভোজন।
আশীর্ব্বাদ দিব বাছা না হবে মরণ॥
গুরুর চরণে যদি এতেক শুনিনু।
গুরু সঙ্গে লয়ে আমি নিজ গৃহে গেনু॥
ফুল টঙ্গিতে দিমু মুই বসিতে আসন।
ভৃঙ্গারের জলে নাথের ধোয়ানু চরণ॥
দুইখানি পাদুকা নাথের মুছাইনু কেশে।
অন্ন আনিতে গেনু মনের হরিষে॥
সুবর্ণের থালিখানি আমরুলে মাজিয়া।
গঙ্গাজল লই এক ভৃঙ্গার ভরিয়া॥
আতব চাউলের অন্ন থালিতে ভরিনু।
বার বৎসরের ভোজন তাথে সাজাই॥
সেই অন্ন ব্যঞ্জন বাছা থালিতে রাখিয়া।
খোয়া দুগ্ধ দিলু আর কোটর ভরিয়া॥
আর থালে ছাপাইয়া লইনু যোড়হাতে।
ভক্তি করিয়া সব দিনু গুরুর সাক্ষাতে॥
থাল সরাইয়া গুরু করিল নজর।