পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৪৯

বালকে করাবে তখন হাড়িফার সেবক॥
তখন সেবিবে গুরু হাড়িকার চরণ।
বাড়িবে পরমাই আর না হবে মরণ॥
কহিল সকল কথা গুরু মহাজন।
আশীর্ব্বাদ দিয়া গুরু করিল গমন॥
মুনি বলে শুন বাছা রাজাপুত্র সুত।
আমার গুরুর নাম গোর্খ অবধুত॥
তুমি যদি হইলে বাছা গোর্খের বরে।
দশ মাস দশ দিন ধরিনু উদরে॥
তোমাকে কহিনু বাছা তত্ত্ব বচন।
হাড়িফারর চরণ সেব না হবে মরণ॥
ছাড় বাছা রাজা পাট কিছু নহে সার।
গুরু বিনে পৃথিবীতে নাহিক নিস্তার॥
ছাড় বাছা রাজা পাট মুখে মাখ ছাই।
মায়ে পুত্রে যুগী হয়ে চার যুগ বেড়াই॥
শুনিয়া মায়ের কথা প্রণাম করিল।
পুনর্ব্বার ধীরে ধীরে কহিতে লাগিল॥
রাজা বলে শুন মা ময়নামন্ত্রি রাই।
আর এক নিবেদন চরণে জানাই॥
উচিত কহিব কথা দোষ কিছু নাই।
ক্রোধ করিয়া গালি দাও বাবার দোহাই॥
এমন জ্ঞানী মা ছিলে বাপের ঘরে।
তুমি থাকিতে কেনে আমার বাবা মরে॥
সেই সকল কথা মা শুনিবার চাই।
নিশ্চয় হইব যুগী মনে কিছু নাই॥
যেইমাত্র গোপীচন্দ্র যোগী হতে চাহিল।
পুত্রের কথা শুনি মুনি হাতে স্বর্গ পাইল॥
বাহু পসারিয়া মুনি পুত্র লইল কোলে।

৫৭