পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৫১

তে কারণে গেল রাজা যমের দুয়ার॥
শুন বাছা গোপীচন্দ্র যোগের কাহিনী।
বাইন শক্ত হইলে বাছা নৌকায় না লয় পানি
খাকের খাটী মাটী বাছা খাকের আবর।
পবনেতে গুণ টানে নৌকায় এত জোর॥
অসার সার করিলে বাছা কামিনীর কোলে।
মরিবে খাইবে মাংস শকুন ও শৃগালে॥
কাগা কাণ্ডারী নৌকার শগুন ভাণ্ডারী।
শৃগাল বলেন আমি নায়ের অধিকারী॥
দুই খানি চোহুড় লায়ের চৌহুড় দুইখান।
ব্রহ্মা কুণ্ডেতে বসে লায়ের দেওয়ান॥
পাঁচ পণ্ডিত লয়া মনুরা চলে বাঁয়ে।
সাধন কর বাছা হৃদয় সবায়ে॥
জ্ঞান সাধ ধ্যান কর পাইবে পরিচয়।
কাণ্ডারী থাকিতে কেন যাও অন্য ঘাটে।
বাছিয়া লাগাও নৌকা নিরঞ্জন জিটে॥
নিরাঞ্জনের ঘাট বাছা অমূল্য কাণ্ডারী।
সেই ঘাটে নাই বাছা ঘমের অধিকারী॥
নিরাঞ্জন বদলে বাছা গুরুক যেবা মানে।
গুরুকে না চিনিলে বাছা নিরাঞ্জন চিনে॥
দেহের মধ্যে গয়া গঙ্গা ত্রিবেণীর[১] ঘাট।
কিনি বিকি কর বাছা শ্রীকলার[২] হাট॥
বাছিয়া খরিদ কর অজপা নামের ধ্বনি।
মুখে জপ নিজ নাম দুই কর্ণে শুনি॥
পাঁচ মাণিক আছে বাছা নৌকার ভিতর।
গুরুকে ভজিয়া কর রত্ন হস্তান্তর॥


  1. ‘ত্রিপিণীর।’
  2. ‘স্রীকলার।’