আঠার বৎসর অন্তে উনিশে মরিবে।
সেবিলে হাড়ির চরণ অমর হইবে॥
এতেক কহিয়া নাথ করিয়া সেবক।
গুরুর প্রসাদে মুনির হইল বালক॥
পিতার চরণামৃত মাতায় খাইল।
যতি গোর্খের বরে আমার জনম হইল॥
আমার জনম হইল যতি গোর্খের বরে।
দশ মাস দশ দিন ছিনু জননীর উদরে॥
উদরে ধরিল মাতা নাহি দিল খির।
গুণবতীর দুগ্ধে আমার বাড়িল শরীর॥
সাত বৎসর প্রমাই হইল রাজ কার্য্য করি।
আঠার বৎসর পর আমি যাব মরি॥
ইহার মধ্যে যদি জ্ঞান নাহি পাই।
উনিশ বৎসরে যাব যমের ঠাই॥
মায়া দূর কর রাণী না বইস আমার পাশে।
নিশ্চয় হইব যুগী যাইব সন্ন্যাসে॥
এ সুখ সম্পদ রাণী কিছু না লয় মনে।
চিত্ত বান্ধা আছি আমি হাড়িফার চরণে॥
হাড়িফার চরণে আমার মন রৈল বান্ধা।
রাজা পাট নারী পুরী সব মিথ্যা ধান্ধা॥
শুনিয়া অদুনা বলে মনে পায়ে ব্যথা।
নিশ্চয় যাইবে রাজা গলে দিয়া কাঁথা॥
অখণ্ড সরল গুয়া বিড়া বান্ধা পান।
এ সুখ সম্পদ তোমাক বিধি হইল বাম॥
এতেক বলিয়া তখন কান্দে চারি রাণী।
অঝর নয়নে পড়ে দুই চক্ষের পানি।
কান্দি কান্দি চারি রাণী অঝুরেতে ঝুরে।
বসন ভিজিয়া গেল নয়নের নীরে॥
পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৬৯