পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৭০
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

কান্দিতে কান্দিতে রাণী হইল ফাঁফর।
যুক্তি বিচারে রাণী মারিতে জলন্ধর॥
চারি রাণী বলে আমরা কান্দি অকারণ।
হাড়িফাক মারিলে রাজ্যে রহিবে রাজন॥
হাড়িফাক মারিতে যদি কোনরূপে পারি।
তবে সে থাকিবে রাজ্য রাজ্যের অধিকারী॥
এতেক ভাবিয়া সবে যুক্তি করিল।
কিরূপে মারিব হাড়িক ভাবিতে লাগিল॥
ভাবিতে ভাবিতে রাণী স্থির কৈল মন।
হাড়িক মারিব বিষ করায়া ভক্ষণ॥
এতেক কহিয়া রাণী মহলেতে গেল।
খেতু নফর বলি ডাকিতে লাগিল॥
ডাক শুনিয়া খেতু সাক্ষাতে আসিল।
খেতুকে দেখিয়া রাণী কহিতে লাগিল॥
রাণী বলে বাছা খেতু টাকা লয়া যাও।
একশত টাকার বিষ শীঘ্র আমি দাও॥
শত মুদ্রা লয়া খেতু করিল গমন।
বাজারের দক্ষিণেতে বিষের কারণ॥
মৃকুল সহরে ছিল বাদিয়া এক হাজার।
কালু সাপুড়ে ছিল সকলেব সরদার॥
সহস্র ঘর বাদিয়ার মধ্যে কালুসা ভাজন।
তাহার বাড়ীতে গেল বিষের কারণ॥
কালু বলে খেতু তোমাক দেখি যে চঞ্চল।
কি কার্য্যে আইলে তাহার কহিবে কুশল॥
খেতুয়া বলেন তবে শুনত শ্রবণে।
শত মুদ্রার বিষ কালু দেহ এহিক্ষণে॥
এতেক বলিয়া টাকা দিল কালুর হাতে।
টাকা লয়া গেল কালু বিষ আানিতে॥