পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৭৪

সোয়া প্রহর রাত্রি যখন গগনেতে হইল।
সিদ্ধির ঘোটনা হাড়ির খাইতে মনে লৈল॥
হুহু শব্দ করি সিদ্ধা হুহুঙ্কার ছাড়িল।
শিবনামে ব্রহ্মজ্ঞানে বন্ধন ছুটিল॥
যে সমুদ্রে ছয় মাসে পাথর না যায় তল।
সেই সমুদ্রে হইল হাড়ির হাটুখানিক জল॥
গঙ্গাজল দিয়া হাড়ি স্নান করিল।
শূন্যরাজে সিদ্ধের ঝুলী শীঘ্র আনি দিল॥
সোয়া মন সিদ্ধি হাড়ি হস্তে করি নিল।
সোয়া মন ধুতুরার ফল তাতে মিশাইল॥
সোয়া মন কুচলা হাড়ি একত্র করিয়া।
মুখেতে তুলিয়া দিল শিবনাম লইয়া॥
সিদ্ধি খাইয়া নাথ গঙ্গাজল খাইল।
এক প্রহরের পথ গঙ্গা বালুচর হইল॥
শুকুর মামুদে কয় ফকীরের কিঙ্কর।
এহিত কারণে হাড়িফার নাম জলন্ধর॥



সিদ্ধি জল খাইয়া নাথ আনন্দ হইল।
ফুলবাড়ীতে যাইয়া নাথ গোফাতে বসিল॥
যোগ আসনে নাথ বসিল গোফাতে।
চারি রাণী ঘরে রইল হরসিত চিতে॥
ফুলবাড়ীতে গেল অদুনা ফুল তুলিতে।
দেখেন হাড়িফা আছেন গিয়া গোফাতে॥
হাড়িফাকে দেখে রাণী ভাবে মনে মনে।
বিষ পান করিয়া হাড়িফা বাঁচিল কেমনে॥
কল্য দেখিলাম হাড়িফা ভাসিতে জলেতে।
আজ বসিয়া আছে হাড়ি আপন গোফাতে॥
বিষ পান করি যার না হইল মরণ।