পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৭৫

না জানি মনুষ্য রূপে আছে কোন জন॥
মনুষ্যের শক্তি কিবা বিষ খাইবার।
নিশ্চয় জানিলাম হাড়ি চারি যুগের সার॥
সিদ্ধি খায় সোয়া মন ধুতুরার ফল।
কি করিতে পারে তারে বিষের গরল॥
ব্রহ্মজ্ঞান নিজনাম জপে সেই জন।
গরল অমৃত তারে একুই সমান॥
কি কাজ করিনু আমরা নিজ মাথা খাইয়া।
হাড়িফার সঙ্গে রাজা যাউক সন্ন্যাসী হইয়া॥
রাজ্য ছাড়িয়া রাজা যাইবে যখন।
মৃকুলে হইবে ত্বরা রাজা তিন জন।
পদুনা বলেন বিভা না করিল মোরে।
পিতা মোরে দিল দান বিভার বাসরে॥
দান মোরে দিল পিতা না হইল বংশ।
কিরূপে পাইব আমি মৃকুলের অংশ॥
রাজ্য ছাড়িয়া যখন রাজা হইবে সন্ন্যাসী।
সকলে বলিবে পদুনা রাজার দাসী॥
এতেক ভাবিয়া রাণী আপনার চিতে।
রাজার নিকটে গেল কান্দিতে কান্দিতে॥
শুকুর মামুদে কয় রাণীর করুণা।
নাচাড়ীতে কহে কবি শুন সর্ব্বজনা॥


ত্রিপদী।


করিয়া যুগল পানি, কহে কথা পামুমিনী,
শোন রাজা মোর নিবেদন।
শোন মোর দুঃখের কথা, প্রসব কালে মৈল মাতা,
মাসীমায়ে করিল পালন॥
আমার যতেক দুঃখ, কহিতে বিদরে বুক,
কিছুই কারণ নাহি জানি।