পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৮৫

হাড়িফা বলেন আজ খিয়াতেক রাখিব।
একুশ বুড়ি কড়ি শূন্যে উড়াইব॥
এতেক বলিয়া নাথ হুহুঙ্কার ছাড়িল।
ঝুলির ভিতর কড়ি শূন্যরাজে নিল॥
ঝুলিতে আছিল কড়ি রাজার ছিল বল।
রাজা বলে গুরুদেব খাও সিদ্ধি জল॥
রাজার বচনে নাথ সিদ্ধি খাইল।
নকুল করিতে নাথ হাত বাড়াইল॥
ঝুলিতে হাত দিল রাজা ভাবিয়া হুতাশ।
কড়ি না পাইয়া রাজা ছাড়িল নিশ্বাস॥
নকুল করিতে নাথ পাতিয়া রৈল হাত।
দেখিয়া রাজার মূণ্ডে পড়িল বজ্রাঘাত॥
কড়ি না পাইয়া রাজা করে হায়রে হায়।
গুরুর নিকটে আমি ঠেকিলাম দায়।
কান্দে কান্দে গোপীচন্দ্র চক্ষে পড়ে পানি।
এবে সে জানিনু দড় হারানু পরাণী॥
আগে যদি জানিতাম ঝুলিতে কড়ি নাই।
তবে কেন করার করিমু গুরুর ঠাই॥
প্রথমে গুরুর স্থানে হইবে করার।
অধঃপাতে রাজার বুঝি নাহিক নিস্তার॥
এতেক বলিয়া রাজ্য ভাবে মনে মন।
গলে বসন দিয়া টিপ্‌ল গুরুর চরণ॥
চরণ ধরিয়া বলে হইয়া ব্যকুল।
আমাকে বেচিয়া কর সিদ্ধের নকুল॥
শুনিয়া হাড়িফা সিদ্ধা ভাবে মনে মনে।
রাজাকে বেচিব আজ নটিনীর স্থানে॥
যোগী হইয়া গোপী ছাড়ে চারি নারী[১]


  1. ‘রাণী’।